ইউকে বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
হেডলাইন

শিক্ষা কর্মকর্তা যোগসাজশে প্রশিক্ষণ ফাঁকি দিয়ে নির্বাচন ডিউটিতে শিক্ষক

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :হবিগঞ্জের মাধবপুরে ইউআরসি কর্তৃক লিডারশীপ প্রশিক্ষণ ফাঁকি দিয়ে বেসরকারি একটি বেবিট্যাক্সি সমিতির নির্বাচনে ভোট গ্রহন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের অভিযোগ উঠেছে দুই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক যদিও আদেশ থাকে মাঠপর্যায়ের কর্মরত কর্মকর্তা ও শিক্ষক যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যাতিরেকে সরকারি সায়ত্তশাসিত, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, কর্তৃক আয়োজিত ওয়ার্কশপ, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, মতবিনিময় সভায় পূর্ব অনুমোদিত কোন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করার জন্য কর্মস্থল থেকে পূর্বে নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হবে। এর ব্যাত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্তঃ রয়েছে। শিক্ষা অধিদপ্তরের এ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে উনারা অতিরিক্ত আয়ের জন্য নিজেদের পূর্বনির্ধারিত লিডারশীপ ট্রেনিংয়ে না গিয়ে ভোট গ্রহন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।

জানা যায় , মাধবপুর উপজেলা রিসোর্স সেন্টার কর্তৃক পরিচালিত ১৫ দিনের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণের লিডারশিপ বিষয়ক প্রশিক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে বেবিট্যাক্সি সমবায় সমিতির নির্বাচনে ভোট গ্রহন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনে মত্ত অভিযুক্ত শিক্ষকগন হলেন মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল তিনি সুন্দাদিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং অপর জন মাধবপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তারুল আলম।

সরেজমিনে ঘটনার সত্যতা পেয়ে জানতে চাইলে উভয় শিক্ষক ই লিডারশিপ বিষয়ক প্রশিক্ষণ বাদ রেখে সমিতির নির্বাচন ডিউটি করছেন কথাটি প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বরত উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রফিকুল নাজিমের যোগসাজশে এই কাজ করতে সাহস পেয়েছেন উনারা। কারন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশাপাশি শ্রমিক সংগঠনের ভোট গ্রহন কেন্দ্র। তাছাড়া শিক্ষা অফিসের অনেক অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করতে সিদ্ধহস্ত এই সহকারী শিক্ষা অফিসার রফিকুল নাজিম।

জানতে চাইলে লিডারশিপ বিষয়ক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণরত কর্মকর্তা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল নাজিম বলেন তারা দুই জনে সমস্যা দেখাইছে, আর তারা কোনো ছুটি নিয়েছেন কিনা এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা ট্রেনিংটা মূলত ইন্সট্রাক্টর কর্তৃক পরিচালিত তাই তিনিই জানেন। উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর খায়ের মোল্লা বলেন, একটা ট্রেনিংয়ে থাকা অবস্থায় আরেকটা সমিতির নির্বাচনে ভোট গ্রহন কর্মকর্তা হিসেবে যেতে পারেনা।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার এস এম জাকিরুল হাসান বলেন, ট্রেনিংয়ে আমি ওনাদের ডেপুটেশন দিয়েছি, ওনারা ট্রেনিং করবে, কিন্তু যদি না করে থাকে, এটা যিনি ট্রেনিং কন্ট্রাক্ট করতেছেন ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর ওনারই দায়িত্ব। প্রথমত ভাতা ত পাবেনই না, এবং কেন অনুপস্থিত তা জানতে চাইব।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ

ukbanglaonline.com