ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :কক্সবাজারে দেশের প্রথম সাবমেরিন কেবল (সিমিউই-৪) রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা আংশিকভাবে বন্ধ থাকবে। এর ফলে দেশে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবস্থাপনায় কিছুটা ধীরগতি হতে পারে।
গতকাল শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস কোম্পানি লিমিটেড পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাবমেরিন কেবল (সিমিউই-৪) সিস্টেমের সিঙ্গাপুর প্রান্তে কনসোর্টিয়াম কর্তৃক গৃহীত রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করার জন্য শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায় ১২ ঘণ্টা এ কেবলের মাধ্যমে সংযুক্ত সার্কিটগুলো আংশিক বন্ধ থাকবে। এ কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হতে পারে।
এতে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসসিপিএলসি। তবে এই সময় কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল (সিমিউই-৫) যথারীতি চালু থাকবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিএসসিপিএলসি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে মোট ব্যান্ডউইথের ব্যবহার ৫ হাজার জিবিপিএসের বেশি। এর অর্ধেকেরও বেশি প্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএস আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি) লাইসেন্সের মাধ্যমে আসে, যা ভারত থেকে স্থলপথে ব্যান্ডউইথ আমদানি করতে ব্যবহৃত হয়।
বাকি ২ হাজার ৪০০ জিবিপিএসের মতো ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে বিএসসিপিএলসি। দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এ ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য-পশ্চিম ইউরোপ-৪ (সিমিউই-৪) কনসোর্টিয়ামের সদস্য।
বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিপিএলসি) সিমিউই-৪ এবং সিমিউই-৫ নামের দুটি আন্তর্জাতিক সাবমেরিন কেবল কনসোর্টিয়ামের (কোম্পানি) সদস্য। যেটি বাংলাদেশে সাবমেরিন কেবলসের অধিক ক্ষমতা ও পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করে।
বর্তমানে সিমিউই-৪ এবং সিমিউই-৫ কেবল দুটির মাধ্যমে বাংলাদেশের ইন্টারনেট এবং আন্তর্জাতিক ভয়েস ট্র্যাফিক চলছে। সিমিউই-৪ এর জন্য বিএসসিসিএল এর কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন রয়েছে কক্সবাজারে। আর সিমিউই-৫ এর জন্য বিএসসিসিএল এর ল্যান্ডিং স্টেশন চালু হয়েছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটাতে।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয়। এর ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজারে। এটি প্রায় ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে থাকে।