ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :ইসরাইলে হামলা বন্ধ করতে চায় লেবাননের ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীর হিজবুল্লাহ। তবে এ জন্য গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ ইসরাইলকে এই শর্ত দিয়েছেন। খবর টাইমস অব ইসরাইলের।
তিনি বলেন, হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা ইসরাইলের সঙ্গে পরিচালনা করছে ‘প্রতিরোধের অক্ষ’ এর পক্ষ থেকে। যদি একটি চুক্তি হয় হিজবুল্লাহ আলাদা আলোচনা ছাড়াই ইসরাইলে হামলা বন্ধ করবে।
সপ্তাহখানেক আগে ইসরাইলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহর সিনিয়র কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসেরের স্মরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নাসরাল্লাহ। বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, লেবানন সীমান্তে সংঘর্ষের ফলে গাজায় চলমান যুদ্ধে মনোযোগ হারিয়েছে ইসরাইল।
তিনি বলেছেন, উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত পরিস্থিতি ইসরাইলকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, যদি তারা এই অবস্থা বন্ধ করতে চায় তবে তাদের গাজায় আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।
একইসঙ্গে, নাসরাল্লাহ সতর্ক করে বলেছেন, হিজবুল্লাহ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ও তারা যুদ্ধে ভীত নয়। ভাষণে ইসরাইলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর ক্রমবর্ধমান রকেট ও ড্রোন হামলার কথা তুলে ধরেছেন তিনি।
নাসরাল্লাহ বলেছেন, হামাস নিজেদের পক্ষে, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর পক্ষে এবং সমগ্র প্রতিরোধের অক্ষের পক্ষ থেকে আলোচনা করছে। হামাস যা মেনে নেবে, আমরাও তা মেনে নেব।
নাসরাল্লাহর বক্তব্যের বিষয়ে হামাসের এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ইরানের সমর্থনে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব মোকাবিলায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট হলো প্রতিরোধ অক্ষ।
হিজবুল্লাহ প্রধান বলেছেন, উত্তর ইসরাইলে গত ৯ মাসের প্রায় প্রতিদিনের আক্রমণের লক্ষ্য ছিল শত্রুকে ভৌত, আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত করা।
গোষ্ঠীটি এই লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে নিয়মিত গুলিবিনিময় করছে হিজবুল্লাহ ও ইসরাইল। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েছে। ইসরাইলি আক্রমণে ৩৩০ জনের বেশি হিজবুল্লাহ যোদ্ধা এবং ৯০ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। অপরদিকে, ইসরাইলে ২১ জন সেনা ও ১০ জন বেসামরিক নিহত হয়েছেন।