ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাওরে নিখোঁজ নৌকার মাঝি চান মিয়া (৩২) সহ একদিনে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের পর সেগুলো ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৃথক পৃথক স্থান থেকে মরদেহ গুলো উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া মরদেহের মধ্যে একজন নৌকার মাঝি ছাড়াও দুইজন নারী রয়েছে।
জানা যায়, শুক্রবার সকালে বানিয়াচংয়ের হাওরে নৌকা দিয়ে ঘুরতে যায় একদল ভ্রমন পিপাসু যুবক। ঘুরাঘুরির এক পর্যায়ে নৌকাটি কাগাপাশা ইউনিয়নের হালিমপুর হাওরে পৌছলে অসাবধানতা বশত নৌকার মাঝি বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে পানিতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে অনেক খুজাখুজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরিদল স্থানীয়দের সহযোগীতায় ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। চান মিয়া বানিয়াচং উপজেলার ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়নের বাথাকান্দী গ্রামের মৃত সামছু মিয়ার পুত্র।
অপরদিকে, বানিয়াচং উপজেলা সদরের ১নং উত্তর পশ্চিম ইনিয়নের কামালখানী মহল্লায় বাড়ির পাশে একটি জলাশয়ে রুমা আক্তার (১৮) নামে এক কিশোরীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহ উদ্ধার করে। এছাড়াও উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের আড়িয়ামুগুড় এলাকা থেকে সিপ্রা রাণী দাস (২৩) নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে বানিয়াচং থানার (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, ৩ জনের মধ্যে চান মিয়া নৌকার মাঝি ছিল। সে শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিল। স্থানীয়দের সহযোগীতায় ডুবুরিদল তার মরদেহ হাওরের পানির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও রুমা আক্তার একজন মৃগী রোগী ও সিপ্রা রাণী মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিল বলে জানতে পেরেছি। বিষয়গুলো পুলিশ খতিয়ে দেখছে।