ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপনকে পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হলে টানা আন্দোলন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বুধবার ( ৩ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে গোলচত্তরে এসে ছাত্র সমাবেশে এসে জড়ো হয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘মেধা যার মেধা যার, চাকরি তার চাকরি তার; কোটা না মেধা, মেধা মেধা; সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে; ৭১’এর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই; সংবিধানের মূলকথা, সুযোগের সমতা; ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে; ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার; ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই; ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন; ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম; ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকারি চাকরি হতে হবে মেধার ভিত্তিতে। এখানে কোটার কোন জায়গা নেই। এই কোটার কারণে বেকারত্ব বাড়বে।
বক্তারা আরও বলেন, আমরা ২০১৮ সালে কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এ কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছে। তারা বলেন, একটা দেশে কখনো ৫৬ শতাংশ কোটা থাকতে পারে না। এটা সেই দেশের মেধাবীদের সঙ্গে তামাশা করার মতো।
বক্তাদের মাঝে পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী সজিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ গড়তে হলে মেধাবীদের নিয়েই গড়তে হবে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর কোটা প্রথার কোনো প্রয়োজন নেই। কোটা প্রথা পুনর্বহাল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসন। ২০১৮ সালের পরিপত্র যতক্ষণ না বহাল হচ্ছে, ততক্ষণ ছাত্রসমাজ রাজপথে থাকবে।
এতে শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো-১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।
২. ‘১৮-এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।
৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।