ইউকে শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
হেডলাইন

প্রিয় শখের পুরুষ, তুমিই করো তোমার বিয়ে’

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :প্রিয় শখের পুরুষ। তুমি করো তোমার বিয়ে। অনেক ভালোবেসেছ এবং অতিরিক্ত যন্ত্রণাও দিয়েছ। আমি পারছি না এত যন্ত্রণা নিতে। বাকি জীবনটা সুন্দর করে উপভোগ করতে পারলাম না। ভালো থেকো। আজকের দিনেও তোমার যন্ত্রণা নিতে পারছি না। আমার পরিবার থেকে যে যৌতুকের টাকা তোমাদের দিয়েছে সেগুলো শোধ করে দিও। তুমি আমাকে বাঁচতে দিলে না।’

কথাগুলো রীমা আক্তার নামে এক তরুণীর। একটি চিরকুটে কথাগুলো লিখেন তিনি। চিরকুটটি উদ্ধার করা হলেও এর আগেই পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন রীমা। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও এলাকায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। রীমা ঐ এলাকার হীরা তালুকদার বাড়ির বাচা মিয়ার মেয়ে।

চিরকুটে রীমা আরো লিখেন, ‘আমি বাঁচতে পারতাম যদি আমি বেশি মানসম্মানওয়ালা পরিবারে জন্মগ্রহণ না করতাম। সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিও। আর আমার পোস্টমর্টেম করিয়ে আমার সব যন্ত্রণা ধুয়ে মুছে আমাকে কবরে পাঠিও। আর আমার পরিবারকে বলছি মোরশেদকে তোমরা ছাড়বা না। ওকে ওর প্রাপ্য শাস্তি তোমরা দেবা।’

জানা গেছে, মিজানুর রহমান নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রীমার। মিজানুর ব্যাংকে চাকরি করেন। উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে সম্প্রতি তাদের বিয়ে ঠিক হয়। গত বৃহস্পতিবার তাদের মেহেদী এবং গতকাল শুক্রবার বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল।

রীমার স্বজনরা জানান, দুদিন আগেও মিজানুর রহমানের পরিবারকে দুই লাখ টাকা দেয় রীমার পরিবার। বরযাত্রীর খাবারের পরিবর্তে টাকাটি নেন তারা। এছাড়া যৌতুক হিসেবে আরো টাকা দাবি করায় অপমানিত হয়ে রাগে আত্মহত্যা করেন রীমা।

রীমার চাচা নাছির উদ্দিন বলেন, আমার ভাতিজি আত্মহত্যার আগে চিরকুটে উল্লেখ করেছেন- তাকে বৃহস্পতিবার নাকি ভিডিও কল দিয়ে যৌতুকের টাকা দাবি করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

রীমার ভাই আজগর হোসেন বলেন, আমার বোন পটিয়া সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্রী ছিল। ছেলের পরিবারের আগ্রহে আমরা বিয়েতে রাজি হই। তারা যে এতটা লোভী, তা আমরা জানতাম না। আমার বোন প্রাণ দিয়ে তাদের মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছে। আগে আমরা বুঝতে পারিনি।

পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবদুর রহিম সরকার বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ