ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় ১২ বছর বয়সী এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে সাদিকুল ইসলাম (১৯) নামের এক বাদাম বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে জেলার ভালুকা পৌর শহরের মেজর ভিটা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার সাদিকুল ইসলাম উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চর কিনারআলগী গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। পেশায় বাদাম বিক্রেতা সাদিকুল ওই কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে তিনি ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগীর পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্ছল। মেয়েটি উপজেলার একটি গ্রামে তার নানার বাড়িতে থাকত। তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন অভিযুক্ত সাদিকুল। কিন্তু কিশোরী প্রস্তাবে রাজি ছিল না। গত মঙ্গলবার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ওই কিশোরী ঘর থেকে বের হয়। তখন ঘরের পাশে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সাদিকুল তাঁর দুই বন্ধু রিফাত (২০) ও শরীফের (২১) সহায়তায় তাকে তুলে নিয়ে পাশের একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে সাদিকুল মুখে গামছা বেঁধে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যান। পরে স্বজনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
ঘটনার পরদিন বিকেলে ভুক্তভোগী কিশোরীর নানা বাদী হয়ে গফরগাঁও থানায় ওই তিনজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর গতকাল দিবাগত রাতে ভালুকা পৌর শহরের মেজর ভিটা এলাকা থেকে সাদিকুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর আজ অভিযোগটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। সাদিকুলকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুজ্জামান খান প্রথম আলোকে বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্ছল। সে পড়াশোনা করত না। নানার বাড়িতে থাকত। প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পর আজ বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।