ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : সিলেটের গোয়াইনঘাটে পৃথক ঘটনায় তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন শিক্ষক, কিশোর ও অজ্ঞাত ব্যক্তি রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল ৯টায় উপজেলা বিছনাকান্দি এলাকায় বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে জুয়েল মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়।
নিহত জুয়েল মিয়া উপজেলার রুস্তুমপুর ইউনিয়নের বগাইয়া হাওর গ্রামের মন্নান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, পেশায় দর্জি জুয়েল মিয়া নৌকায় বগাইয়ার হাওরে ঘুরতে যান। এসময় স্থানীয় মধ্যপাড়া ক্লাব ঘরের সামনে বিদুৎ লাইনে জড়িয়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি দাতব্য চিকিৎসালয়ে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এদিকে, বন্যার পানিতে মাঝ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে সলিল সমাধি ঘটে মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের। তিনি উপজেলার ফতেহপুর ১ম খন্ডের শিব্বির মিয়ার ছেলে। তিনি বাংলাবাজার মডেল একাডেমির শিক্ষক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় কাপনা নদীতে ঢলের পানি নামায় চাচাতো ভাই রাসেল আহমদকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে যান শাহাদাত। এ সময় একটি নৌকা নিয়ে শখ করে মাছ ধরতে গেলে ঢলের তোড়ে হঠাৎ নৌকাটি ডুবে যায়। রাসেল সাঁতার কেটে চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন। কিন্তু শাহাদাত স্রোতে তোড়ে হারিয়ে যান। খোঁজাখুঁজির প্রায় চার ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর ইউনিয়নের ভুগোইল বিল থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার(২০ জুন) বিকাল ৩টার দিকে সদর ইউনিয়নের গহড়া গ্রামের পার্শ্ববর্তী ভূগোইল বিলের এক পাশ থেকে পানিতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ফুলে ফেঁপে শরীরের চামড়া উঠে গেছে, মাথার পেছনে বেরিয়ে মুখের অংশ ফুলে থেতলে ও পচে গেছে। মরদেহের পরনে কোন কাপড় ছিল না। মরদেহের কোমর থেকে নিচের অর্ধ অঙ্গ ছিল না।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মেহেদী হাসান বলেন, মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা সাত আট দিন ধরে লাশ পানিতে ভাসছিল।
তিনি বলেন, ভুগোইল বিলে মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে ভাসমান অবস্থা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরিবারের খোঁজ মিললে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্যথায় পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।