
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :এবার গাজায় সমুদ্রপথে ত্রাণ পাঠাতে উপকূলে অস্থায়ী বন্দর স্থাপনের জন্য যাত্রা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। শনিবার (৯ মার্চ) ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে ‘জেনারেল ফ্রাঙ্ক এস বেসন’ নামের জাহাজটি যাত্রা শুরু করে। খবর বিবিসি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় সমুদ্রপথে ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা ৩৬ ঘন্টার মধ্যেই সামরিক বাহিনীর একটি দল বন্দর স্থাপনের সরঞ্জাম নিয়ে রওনা হয়। জাতিসংঘ ইতিমধ্যে বলেছে, গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ ‘প্রায় অনিবার্য’ এবং শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে।
স্থল ও আকাশপথে সাহায্য বিতরণ কঠিন এবং বিপজ্জনক। স্থলপথের সাহায্য ইসরায়েলি বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) আকাশপথে ফেলা ত্রাণ মাথায় পড়ে পাঁচজন নিহত হয়েছে।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড এক্সের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা গাজায় গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সাহায্য সরবরাহের জন্য একটি অস্থায়ী বন্দর স্থাপনের জন্য প্রাথমিক সরঞ্জামবাহী জাহাজ পাথিয়েছে।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ১ হাজার সৈন্যের সাহায্যে বন্দরটি তৈরি করতে ৬০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এ সময় সৈন্যদের কেউই উপকূলে যাবে না।
দাতব্য সংস্থাগুলো বলছে, গাজায় যারা দুর্ভিক্ষে ভুগছেন- তারা এতদিন অপেক্ষা করতে পারবেন না।
ইতিমধ্যে, প্রায় ২০০ টন খাদ্য বোঝাই একটি সহায়তা জাহাজ রবিবার সকালে সাইপ্রাসের একটি বন্দর থেকে যাত্রা করার জন্য ছাড়পত্রের অপেক্ষায় ছিল। আশা করা হচ্ছে, ওপেন আর্মস নামের এই জাহাজ সোমবারের আগে বন্দর ছেড়ে যেতে সক্ষম হবে।
ইইউ ঘোষণা দিয়েছিল যে, সরাসরি সাহায্য পাঠানোর জন্য সপ্তাহান্তে নতুন সমুদ্রপথ খোলা হবে যাতে সাইপ্রাস থেকে গাজায় সাহায্য পাঠানো সহজতর হয়।
ইসরায়েল সমুদ্রপথে সাহায্য পাঠানোর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা বলছে, সাইপ্রাসের জাহাজটিতে ‘ইসরায়েলের মান অনুযায়ী’ নিরাপত্তা পরীক্ষা করার পর সহায়তা প্রদান করতে দেয়া হবে।