ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :তুষারপাতে অচল হয়ে পড়েছে পাকিস্তানের গিলগিট-বালতিস্তান, বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বেশিরভাগ এলাকা। স্থানীয় সময় আজ রোববার (৩ মার্চ) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার (২ মার্চ) দ্বিতীয় দিনের তুষারপাতে খাইবার পাকতুনখোয়ায় অন্তত ২২ জন মারা গেছে।
এর আগে, শুক্রবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও তুষারপাত হয় পাকিস্তানের তিন প্রদেশসহ বেশ কয়েকটি এলাকায়। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা। বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে বন্ধ হয়ে গেছে রাস্তাঘাট। আকস্মিক বন্যায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে আরও বেশ কয়েকটি রাস্তা।
শনিবার দ্বিতীয় দিনের বৃষ্টিতে প্রায় তলিয়ে গেছে খাইবার পাকতুনখোয়ার বেশিরভাগ অঞ্চল। মারা গেছে অন্তত ২২ জন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ২৫ জন। শত শত ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ গৃহহীন অবস্থায় রাস্তায় বা উঁচু স্থানে অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ইসলামাবাদ ও গিলগিট এবং স্কারদু শহরে অভ্যন্তরীন ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে, যখন ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় বেলুচিস্তানের বেশ কয়েকটি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নোশকি এবং চাগাই জেলা প্রদেশের অন্যান্য অংশ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
গিলগিট-বালতিস্তানের দিকে যাওয়া বা সেখান থেকে আসা পরিবার, রোগী এবং শিশু সহ হাজারো যাত্রী বিভিন্ন এলাকায় আটকা পড়েছে। কারণ এই প্রদেশের বেশিরভাগ রাস্তাই ডুবে গেছে। অথবা ভূমিধসের কারণে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সড়কগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
স্কারদু, শিগার, খারমং এবং ঘাঞ্চে জেলার স্কুলগুলোর শীতকালীন ছুটি ১০ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এসব এলাকায় ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত তুষারপাত হয়েছে এবং তাপমাত্রা শূন্যের নিচে নেমে গেছে।
এদিকে, পাকিস্তান আবহাওয়া বিভাগ রবিবার পর্যন্ত এসব অঞ্চলজুড়ে আরও বৃষ্টি ও তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।