ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে যে মামলা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, সেই মামলা চালিয়ে নেয়ার অনুমতি দিয়েছেন নিউইয়র্ক আদালত। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে কিনা তা ভাবছে আরসিবিসি। ফিলিপাইনের গণমাধ্যম এনকোয়ারার ডট নেটের।
এর আগে গত বছরের এপ্রিলে নিউইয়র্কের আরেকটি আদালতে আরসিবিসির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলাটি খারিজ করে দেয়। রায়ে বলা হয়েছিল, ওই মামলা বিচারের ‘পর্যাপ্ত এখতিয়ার’ ওই আদালতের নেই। এরপর বাংলাদেশ বাংকের পক্ষ থেকে নিউ ইয়র্কের ‘এখতিয়ারভুক্ত’ আদালতে মামলা করা হয় বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।
এছাড়া ২০২০ সালের ২০ মার্চ দেয়া রায়ে বলা হয়, মামলাটি টেকনিক্যাল হওয়ায় তা বিচারের জন্য গ্রহণ করা হয়নি, যদিও এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলা দায়েরের সুযোগ আছে বলেও রায়ে মতামত দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৭ মে নিউইয়র্কের কাউন্টি সুপ্রিম কোর্টে আরেকটি মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এদিকে ফিলিপাইনের স্টক এক্সচেঞ্জে দাখিল করা তথ্যে আরসিবিসি জানায়, তারা ২৯ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের আদালত থেকে একটি সিদ্ধান্ত পেয়েছে। এই সিদ্ধান্তে আরসিবিসি ব্যাংক ও সব বিবাদীর বিরুদ্ধে অর্থ রূপান্তর, চুরি, আত্মসাৎ—এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সহায়তা বা প্ররোচনা, জালিয়াতি (আরসিবিসির বিরুদ্ধে), জালিয়াতিতে সহায়তা বা প্ররোচনা—এসব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
তবে অন্যান্য অভিযোগে মামলা চলতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত, যেমন চুরি যাওয়া যে অর্থ আরসিবিসিতে গেছে, তা ফেরত দেয়া। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবে কিনা, তা ভেবে দেখছে আরসিবিসি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে সাইবার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয়া হয়। ২০১৯ সালে চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারের জন্য ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংক এবং বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাসহ ডজনখানেক ব্যক্তিকে আসামি করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ। তবে মামলার বিষয়বস্তু সংশ্লিষ্ট আদালতের এখতিয়ারের বাইরে—এই কথা বলে আরসিবিসিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পাল্টা মামলা করেন। মামলাটি খারিজের আবেদনও করেন তারা।