ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :ইরানের নোবেল বিজয়ী কারাবন্দী নার্গিস মোহম্মদীকে তার বাবার দাফনে যোগ দিতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) তারা বাবা মারা গেছেন। তার পরিবার বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এ কথা জানিয়েছে। তার পরিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘হৃদয়বিদারকভাবে, নার্গিস মোহাম্মদীকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার এবং তার বাবাকে শেষ বিদায় জানানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। খবর এএফপি।
তার পরিবার বলেছে, নার্গিস ও তার বাবা করিম মোহাম্মদীর ২২ মাস ধরে দেখা সাক্ষাত নেই। গত তিন মাস ধরে তার সঙ্গে ফোনেও কথা বলতে পারেননি। এমনকী যেদিন তিনি মারা যান সেদিন তাকে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে দেয়া হয়নি। মঙ্গলবার তিনি ৯০ বছর বয়সে মারা যান। বৃহস্পতিবার তাকে তেহরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জাঞ্জান শহরে সমাহিত করা হয়।
ইরানের নিউইয়র্ক ভিত্তিক সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস তার বাবার মৃত্যুর কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, নিপীড়কের কারাগার থেকে আমার মেয়ের কণ্ঠস্বর শোনার আকাঙ্ক্ষা অসহনীয়।
এর আগে পরিবারটি বলেছিল, বাবার দাফনের সময় যোগদান করা নার্গিসের অধিকার।
উল্লেখ্য, ৫১ বছর বয়সী নার্গিস মোহাম্মদী ইরানে মানবাধিকার নিয়ে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ গত বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। তিনি গত দুই দশকের বেশিরভাগ সময় জেলে ও দেশের বাইরে কাটিয়েছেন।
তিনি ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে বন্দী রয়েছেন। তার স্বামী ও যমজ সন্তান প্যারিসে থাকেন। বেশ কয়েক বছর ধরে তাদের সঙ্গেও তার দেখা নেই। গত বছর তাকে কারাগার থেকে এমনকী ইরানে থাকা আত্মীয়দের টেলিফোন করার অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছিল। এখনো তাকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি।
কারাগারে থাকা অবস্থায় মোহাম্মদীকে অতিরিক্ত দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সর্বশেষ কারাগারে থাকাকালীন ইসলামী প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়ানোর অভিযোগে এক বছরের বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে।