ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :৫৪ দিনে দুই হাজার ৫২৮টি অভিযান পরিচালনা করে ১৪ হাজার ৩৬১ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ।
১ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশটির ২২০টি ‘হটস্পট’-এ পরিচালিত হয় অভিযানগুলো। তবে, আটক অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি, তা উল্লেখ করা হয়নি।
অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ ও আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে একই সময়ে ১৩৯ নিয়োগকর্তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) থেকে অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি (পিআরএম) শুরু হলেও অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন রুসলিন জুসোহ।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বার্নামা টিভিতে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে রুসলিন বলেন, এ অভিযান কেবল অবৈধ অভিবাসীদের টার্গেট করেই করা হচ্ছে না, অসাধু নিয়োগকর্তাদেরও টার্গেট করা হচ্ছে। কিছু নিয়োগকর্তা আছেন যারা বিদেশি কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া এড়াতে চান, তারা লেভি দিতে চান না। এটি ভুল, কারণ দেশে আইন রয়েছে, যা অবশ্যই অনুসরণ করা উচিৎ।
অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ার ২২০টি ‘হটস্পট’-এ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বিত অপারেশন পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া ইমিগ্রেশন বিভাগ দেশের সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারিও কঠোর করেছে। মালয়েশিয়ায় প্রবেশকারী বিদেশি দর্শকদেরও তাদের মূল দেশে ফিরতি টিকিট উপস্থাপন করতে হবে।
১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় সক্রিয় বিদেশি কর্মীদের তথ্য উপস্থাপন করে রুসলিন বলেছেন, মালয়েশিয়ায় বর্তমানে মোট ২১ লাখ ২৩ হাজার ৪৯ জন বিদেশি কর্মী আছেন, যাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯৫ জন বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া থেকে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩, নেপাল থেকে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৯৮, মিয়ানমার থেকে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৩২৪ এবং ভারত থেকে এসেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৭০৬ জন কর্মী।