ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :চীনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ নানজিংয়ে একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘটা এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ৪৪ জন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা যায়, একটি আকাশচুম্বী ভবনে আগুন জ্বলছে এবং সেখান থেকে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। অন্যান্য ছবিগুলো থেকে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি তলায় আগুন জ্বলছে।
এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে তারা অনুমান করছেন—ভবনটির প্রথম তলায় বেশ কিছু বৈদ্যুতিক বাইক রাখা ছিল। সেখানেই সম্ভবত আগুনের সূত্রপাত হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, সকাল ৬টার মধ্যেই আগুন নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয় এবং ভবনটি থেকে যাবতীয় উদ্ধারকাজ শেষ হয় দুপুর ২টার মধ্যেই।
ইহুয়াতাই শহরের জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, ভবনটির আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ট্রাক নিয়োগ করা হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে অগ্নিকাণ্ডে ১৫ জনের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইহুয়াতাই শহরের মেয়র চেন ঝিচাং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আহত ৪৪ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা ‘সংকটজনক’ এবং অন্য একজন গুরুতর আহত।
নানজিংয়ের ইহুয়াতাই শহরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। শহরটিতে অন্তত ৮০ লাখ লোকের বাস। শহরটি চীনের অন্যতম ব্যস্ত নগরী সাংহাই থেকে ২৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
উল্লেখ্য, আগুন, মানহীন নিরাপত্তা ও দুর্বল প্রয়োগ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন কারণে চীনে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে বেশ কয়েকটি মর্মান্তিক অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটেছে, যার প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে অবহেলাকে।
গত মাসে দেশটির শিনইউ শহরে একটি দোকানে আগুন লেগে বেশ কিছু লোক মারা যায়। বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ভবনটির বেসমেন্টে অবৈধভাবে আগুন ব্যবহারের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর কয়েকদিন আগে চীনের হেনান প্রদেশে একটি স্কুলের ছাত্রাবাসে আগুন লেগে ১৩ জন ছাত্রছাত্রী মারা যায়। স্থানীয় পত্রিকার খবরে বলা হয়, ওই আগুনের সূত্রপাত হয় ইলেকট্রিক হিটিং ডিভাইস থেকে।
এ ছাড়া গত বছরের নভেম্বরে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শানসি প্রদেশে একটি কয়লা খনির অফিসে আগুনে পুড়ে মারা যায় ২৬ জন। এ ছাড়া আহত হয় আরও বেশ কয়েকজন।