ইউকে মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
হেডলাইন

ইসরায়েলের দুই মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :দুই মাসের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেয়ার প্রস্তাব পত্রপাঠ নাকচ করে দিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। দখলদার ইসরায়েল সরকার প্রস্তাব দিয়েছিল যে, গাজায় দুই মাস আগ্রাসন বন্ধ থাকবে এবং এই সময়ে ইসরায়েলি কারাগারে আটক কিছু ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলি পণবন্দিদের ছেড়ে দেবে হামাস। খবর রেডিও তেহরানের।

কিন্তু গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠনটি কঠোর ভাষায় এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অন্যতম মধ্যস্থতাকারী মিশরের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, ওই দুই মাস সময়ের মধ্যে হামাস নেতাদেরকে গাজা ছেড়ে চলে যাওয়ার সুযোগ দেয়ার যে প্রস্তাব ইসরায়েল দিয়েছিল তাও প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। সংগঠনটি বলেছে, পণবন্দিদের মুক্ত করতে হলে ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকা থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করতে হবে এবং ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের ঘরবাড়িতে ফিরে যেতে দিতে হবে।

ইসরায়েলের প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারসহ অন্যান্য হামাস নেতাকে গাজা থেকে ভিন্ন কোনো দেশে চলে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হবে। অথচ যুদ্ধের শুরুতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, সিনওয়ার এখন একজন মৃত ব্যক্তি যিনি টানেলের মধ্যে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। এই বক্তব্যের মাধ্যমে গ্যালান্ট বুঝিয়েছিলেন, সিনওয়ারকে হত্যা করা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু সে হুমকির পর ১১০ দিন পেরিয়ে গেলেও সিনওয়ারের অবস্থান এখন শনাক্তই করতে পারেনি ইসরায়েল।

হামাস শুরু থেকেই তাদের এক দফা দাবিতে অটল রয়েছে। ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ করে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত পণবন্দিদের মুক্তির বিষয়ে কোনো আলোচনা হবে না।

হামাস ইসরায়েলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মিশর খবর দিলেও মধ্যস্থতাকারী অপর দেশ কাতার বলেছে, তারা উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি এখনও ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে একটি চুক্তির বিষয়ে আশাবাদী। তবে হামাসের প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি ইহুদিবাদী ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানেন না বলে টাইমস অব ইসরায়েল দাবি করেছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ