ইউকে শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
হেডলাইন

হার্ট অ্যাটাকে বাবার মৃত্যু, ক্ষুধায় প্রাণ গেল সন্তানেরও

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :ইংল্যান্ডের লিঙ্কনশায়ারে ৬০ বছর বয়সী কেনেথ তার দুই বছরের বয়সী ছেলেকে নিয়ে একাই থাকতেন বাড়িতে। একদিন হার্ট অ্যাটাকে বাড়িতেই মারা যান তিনি। তার অবর্তমানে বাড়িতে কেউ না থাকায় খাবার না পেয়ে ক্ষুধা-তৃষ্ণায় মারা যায় শিশু ব্রনসন ব্যাটার্সবিও। বাবার মরদেহের পাশেই পাওয়া যায় শিশুটির মরদেহ।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের লিঙ্কনশায়ারে হৃদয়বিদারক এই ঘটনা ঘটেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গত ৯ জানুয়ারি লিঙ্কনশায়ারের স্কেগনেস শহরের একটি বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সর্বশেষ গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর বাবা-ছেলেকে বাইরে দেখা গিয়েছিল। লিঙ্কনশায়ার কাউন্টি কাউন্সিল দুটি মৃত্যু নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

আরও জানা গেছে, শেষবার তাদের যখন বাইরে দেখা যায়, তার দুই সপ্তাহ আগে হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন কেনেথ। ধারণা করা হচ্ছে, ২৯ ডিসেম্বর আবারও হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যু হয় তার। বাড়িতে অন্য কেউ না থাকায় শিশু ব্রনসনও একা হয়ে যায়। খাবার দেয়ার মতো কেউ না থাকায় অনাহারে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শিশুটিও।

গণমাধ্যম সূত্র জানিয়েছে, শিশুটি অরক্ষিত থাকায় প্রতি মাসে একবার করে শিশুসেবা সংস্থার কর্মীরা তাকে দেখে যেতেন। তারই অংশ হিসেবে গত ২ জানুয়ারি এক সমাজকর্মী কেনেথের বাড়িতে যান। এর আগে ২৭ ডিসেম্বর কেনেথের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ওই সমাজকর্মী।

কিন্তু সেদিন বাড়িতে গিয়ে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে শিশুসেবা সংস্থার ওই কর্মী অন্যান্য জায়গায় খোঁজ খবর নেয়া শুরু করেন, যেখানে শিশুটি থাকতে পারে। পরে কাউকে না পেয়ে তিনি চলে আসেন। এর দুই দিন পর তিনি আবারও শিশুটির খোঁজে ওই বাড়িতে যান। সেদিনও বাড়িতে কারও সাড়া-শব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দেন ওই কর্মী। কিন্তু পাঁচ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও পুলিশের কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে বাড়ির মালিকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে তালা খুলে ভেতরে ঢোকেন ওই সমাজকর্মী। ঘরে ঢুকে তিনি দেখতে পান, বাবার মরদেহের পাশে ব্রনসনও মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। খাবার-পানি না পাওয়ায় তার শরীর কুঁকড়ে গিয়েছিল।

লিঙ্কনশায়ার পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, পুলিশ গত ৯ জানুয়ারি দুপুর ৩টা ২৫ মিনিটে এই ঘটনার বিষয়ে জানতে পারে। এরই মধ্যে ঘটনার তদন্ত শেষ হয়েছে ও এই মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না। এরপরও ব্রনসনের দেখভালের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলোর কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করা হবে।

গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, পোস্টমর্টেম পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, ব্রনসন ডিহাইড্রেশন এবং অনাহারে মারা গেছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ