ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, জিয়ার আদর্শ ও স্মৃতি কখনো নষ্ট হয়ে যাবে না। কারণ এ দেশের মানুষের মাঝে তিনি আছেন। গণতন্ত্র হত্যার করে বর্তমান সরকার বাকশাল কায়েম করেছিল সেটাকে কবর দিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় বাগান করেছিলেন। আবার যখন স্বৈরাচার এরশাদ গণতন্ত্র হত্যা করে ঠিক তখনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া তার পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের যারা আছেন তারা জিয়াউর রহমানের কথা শুনতেই পারে না। কারণ যেখানে তারা ব্যর্থ হয়েছে সেখানেই জিয়াউর রহমান সফল হয়েছিলেন। দুর্ভিক্ষের পরও তার সময় খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছিল। চিনি, শিল্প সব খাতে রপ্তানি করেছিলেন। জিয়ার আমলেই শ্রমিক পাঠিয়ে লাখ লাখ ডলার রেমিটেন্স আসা শুরু হয়।
তিনি বলেন, কোটি কোটি টাকা যারা পাচার করেছে তারা আজ জামিন পায়, বিদেশে চিকিৎসা পায় অথচ যিনি এ দেশের জন্য এতো কিছু করলেন সেই বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় রায় দিয়ে মুক্তি দিচ্ছে না। তার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে দিচ্ছে না। এই দেশের জন্য কি আমরা যুদ্ধ করেছিলাম? একজন তার মা মারা গেলে ডান্ডাবেরি পরিয়ে আনা হয়। আমরা একটি বাকশাল বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছি, আমরা যদি আন্দোলনের মাঠে না থাকতাম তবে আন্দোলন চলত না। এই ময়দানে জয় অসম্ভাবি। জয় আমাদের আসবেই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, শত অত্যাচারের মধ্যে যারা এখনো আছেন তারাই জিয়ার আর্দশের সৈনিক। তাদেরকে কেউ থামাতে পারেনি। জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে এই দেশ স্বাধীনতা পেতো না। নারী, শিশু অধিকার নিয়ে মাত্র ৩ বছরের মধ্যে তিনি অন্যতরে নিয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। একটা তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে এই দেশকে খাদ্যে স্বয়ংপূর্ণ করেছিলেন। এই সরকার জিয়া পরিবারকে ভয় পায়, বিএনপিকে ভয় পায়। কোনভাবেই আমাদেরকে ভাঙতে পারেনি। পারবে না।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, জয়নুল আবেদীন ফারুক, তাইফুল ইসলাম টিপু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, মৎস্যজীবি দলের নেতা আব্দুর রহিম, আবুল কালাম আজাদ, ভিপি সেলিম, নাজমুল হাসান, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।