ইউকে সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
হেডলাইন

সুনামগঞ্জের হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে ধীরগতি

Untitled 7 copy 2 - BD Sylhet News

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :: সুনামগঞ্জে হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের নির্ধারিত সময় ৭৫ দিন। এর মধ্যে ৩৩ দিন চলে গেছে, বাকি আছে ৪২ দিন। এই সময়ের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) হিসাবে কাজের অগ্রগতি ১০ শতাংশ। গত সোমবার পর্যন্ত বাঁধের জন্য নেওয়া ৭৩৩টি প্রকল্পে মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে ৩৯০টিতে। কিন্তু পাউবোর এই হিসাব মানতে নারাজ ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’–এর সদস্যরা। তাঁদের দাবি, মাঠের অবস্থা ভালো না।
গতকাল মঙ্গলবার জেলার তিনটি উপজেলার হাওরে ঘুরে ‘অবস্থা ভালো না’ কথার অনেকটাই মিল পাওয়া যায়। অনেক প্রকল্পে এখনো মাটি পড়েনি। আবার কোনো কোনো প্রকল্পে কাজ শুরু হয়েছে মাত্র। কোনোটিতে কাজ শুরুর প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, হাওরে বাঁধ নির্মাণ পুরোনো বৃত্তেই আটকে আছে। শুরুতে ‘ঢিলেমি’ আর শেষে ‘তাড়াহুড়া’। এবারও মাঠে তাই হচ্ছে।

কাজ শুরুতে বিলম্বের কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা হাওর থেকে পানি নামতে দেরি ও মাটির কাজের জন্য খননযন্ত্রের (এক্সকাভেটর) অপ্রতুলতার সঙ্গে এবার নির্বাচনকে সামনে আনছেন।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘সব প্রকল্পের কাজ যত দ্রুত সম্ভব শুরু করতে হবে। আমরা মাঠে কঠোর তদারকি করব। কাজে কোনো ধরনের গাফিলতি হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বড় ধানের হাওর হলো খরচার হাওর। এই হাওরের ফসল রক্ষায় হাওরের পশ্চিমপাড়ের ঘটঘটিয়া নদের তীর ঘেঁষে ১০টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। উপজেলার রাধানগর থেকে দক্ষিণ দিকে একেবারে জিরাক তাহিরপুর গিয়ে শেষ হয়েছে এই বাঁধ। এই ১০টি প্রকল্পের মধ্যে পাঁচটিতে এখনো কোনো কাজ শুরু হয়নি। বাকি পাঁচটির মধ্যে একটিতে কাজ শুরু হয়েছে তিন দিন আগে। আরেকটিতে ১৫ ডিসেম্বর কিছু মাটি ফেলে আর কাজ হয়নি।

গতকাল সকালে সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, রাধানগর গ্রামের পাশে হাওর থেকে কয়েকটি ট্রাকে মাটি এনে বাঁধের একটি জায়গায় ফেলা হচ্ছে। সেখানে গিয়ে কথা হয় পাশের নতুন হাটি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। তিনিই কাজের তদারকিতে ছিলেন। জাহাঙ্গীর জানালেন, তিন দিন হয় কাজ শুরু হয়েছে। এক্সকাভেটর না পাওয়ায় কাজ শুরুতে বিলম্ব হয়েছে তাঁদের। এরপর পাশেই বাঁধের ‘হরিমণের ভাঙা’। এই স্থানটি এই বাঁধের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা (ক্লোজার)। কিন্তু সেখানে এখনো কোনো মাটি পড়েনি। এরপর রায়পুর, বাহাদুরপুর হয়ে

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ