
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :দশম জাতীয় সংসদের অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন এম এ মান্নান। সুনামগঞ্জ-৩ আসনের এ সংসদ সদস্য একাদশ জাতীয় সংসদে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হন। মন্ত্রী হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করা এম এ মান্নান জানালেন, মন্ত্রী হিসেবে কাজ করাটা তিনি উপভোগ করেছেন এবং মন্ত্রণালয় থেকে বিদায়ে তার কোনো আক্ষেপ নেই।
আজ বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি আজ মন্ত্রী হিসেবে শেষ অফিস করছেন।
বিদায় বেলায় কোনো আক্ষেপ বা কষ্ট রয়ে গেছে কি না, এমন প্রশ্নে এম এ মান্নান বলেন, ‘নো নো, আমি এনজয় করছি। আমার কোনো কষ্ট নেই। আমি মন্ত্রী না থাকলেও সংসদে আছি। সংসদ সরকারের ওপরে। আমি দলের একজন কর্মী। আমি শেখ হাসিনার একজন কর্মী। দল যেখানে কাজে লাগাবে, সেখানে কাজ করব।’
তিনি বলেন, ‘এখানে (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে) নতুন যিনি আসবেন তিনিই আমার সহকর্মী। আমার কোনো মতামত নিলে উনাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। তিনি আমার সরকারের বাইরের কেউ নন। নতুন যিনি আসবেন তাকে অভিনন্দন জানাই।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে সদ্য বিদায়ী মন্ত্রী বলেন, ‘পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কাজের চমৎকার পরিবেশ। এখানে কাজ উপভোগ করা যায়। সবকিছুই প্রাণবন্ত। তবে এখানে একটাই চ্যালেঞ্জ, সবার প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকে। এখানেও নানা বিধিবিধান মেনেই কাজ করতে হয়। বাস্তবিক অর্থে এখানে প্রধানমন্ত্রীই প্রধান।’
এম এ মান্নান বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেক আর্থ-সামাজিক বিবর্তন হয়েছে। এখানে (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়) প্রকল্প পাস ও তৈরি করা হয়। এখানে সব প্রকল্পই জনকল্যাণে হয়। সবাই খুব অভিজ্ঞ ও ভালো। আগামীতেও সবাই আমরা দেশের কল্যাণে কাজ করব।’
তিনি বলেন, ‘এখানে (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে) একটা একাডেমিক পরিবেশ আছে। সব মিলে এই মন্ত্রণালয়ে প্রচুর কাজের পরিবেশ আছে। সাধারণ মানুষও এখন পরিকল্পনা কমিশন চেনে। গ্রামে সবাই এখন একনেক চেনে। গ্রামের মানুষ এখন উন্নয়নের সঙ্গে খুব পরিচিত। একনেক হলে মানুষ টেলিভিশন বা পত্রিকায় চেয়ে থাকে। কোন অঞ্চলে কী প্রকল্প পাস হয়, এটা সবাই দেখতে চায়।’
নতুন মন্ত্রিসভা প্রসঙ্গে বিদায়ী পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘চমৎকার মন্ত্রিসভা করেছে সরকার। প্রত্যেকে কাজের মানুষ। বাস্তবতার নিরিখে আমি এখানে কাজ করছি। এই মন্ত্রণালয়ে সবাই ভালো কাজ করে।’