ইউকে মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
হেডলাইন

অল্পের জন্য রক্ষা পেল তিন শতাধিক ট্রেনযাত্রী

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনায় যাওয়ার পথে অল্পের জন্য ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে একটি লোকাল ট্রেনের তিন শতাধিক যাত্রী।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পূর্বধলা ও জারিয়া রেলস্টেশনের মাঝামাঝি বালুঘাটা এলাকার ১৭ নম্বর রেলসেতুর ওপর ১৪টি স্লিপারের ২৮টি ডগস্পাইক (হুক) রহস্যজনকভাবে খোলা দেখতে পান আনসার সদস্যেরা। সঙ্গে সঙ্গে তারা পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খবিরুল ইসলাম ও স্টেশন মাস্টার আব্দুল মোমেন তাৎক্ষণিক বিষয়টি ট্রেন চালককে জানান। সেই সাথে জানানো হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে।

ঠিক ওই সময় শ্যামগঞ্জ স্টেশন ছেড়ে ২৭২ নম্বর লোকাল ট্রেনটি পূর্বধলা স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল। এর কয়েক মিনিট পরই যাওয়ার কথা ছিল জারিয়া স্টেশনে। কিন্তু এ বিষয়টি জানার পর সকাল ৮টার দিকে চালক ঘটনাস্থলের অন্তত ২০০ গজ আগে ট্রেনটি থামিয়ে দেন। কর্তব্যরত আনসার সদস্য, রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পূর্বধলা উপজেলা প্রশাসনের তাৎক্ষণিক সতর্ককতামূলক ব্যবস্থার কারণে পাঁচটি বগিতে থাকা তিন শতাধিক যাত্রী ভয়াবাহ দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পান।

এরপর রেলের মিস্ত্রিরা এসে আবার ১৫টি ডগস্পাইক স্থাপন করলে সকাল ১০টা ৫ মিনিটে টেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। কিন্তু পূর্বধলা উপজেলা প্রশাসন ও রেলের স্থানীয় কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে এটিকে নাশকতার চেষ্টা বলেই আশঙ্কা করছেন। তবে ভিন্নমত পোষণ করেছেন জেলা পুলিশ সুপার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পূর্বধলার স্টেশন মাস্টার আব্দুল মোমেন ও জারিয়ার স্টেশন মাস্টার মনির হোসেন বলেন, ডগস্পাইকের সাহায্যে কাঠের স্লিপারগুলো রেলের লোহার পাতের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। ১৪টি স্ল্পিারের ২৮টি ডগস্পাইক একই সময়ে খুলে থাকার ঘটনাটি স্বাভাবিক নয়। খুবই রহস্যজনক। দুস্কৃতকারীরা খুলে নিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। টের না পেলে ট্রেনটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়তো। এমনকি ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারতো।

পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খবিরুল ইসলাম বলেন, আমি খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে আমার কাছেও নাশকতার চেষ্টা বলেই মনে হয়েছে। তবে তদন্ত করলে বিষয়টি সুস্পষ্ট হবে।

তবে জেলার পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বলেন, প্রাথমিক তথ্যে ঘটনাটি আমাদের কাছে নাশকতা মনে হচ্ছে না। কারণ ডগস্পাইকগুলো খুলে নেয়ার মতো কোনো দাগ বা আলামত দেখা যায়নি। এমনও হতে পারে এগুলো আগে থেকেই খুলে আছে। এ ব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষ আইনি সহযোগিতা চাইলে আমরা করবো।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ