
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :সদ্য শেষ হওয়া ডিসেম্বর মাসে শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস থাকলেও দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হওয়ায় তা দেখা যায়নি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকায় শীতের প্রকোপও কম ছিল।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে, জানুয়ারি মাসে দেশের ওপর দিয়ে দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও বছরের শীতলতম মাস জানুয়ারিতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকার ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জানুয়ারি মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এতে বলা হয়, চলতি মানে দেশে এক থেকে দুটি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, জানুয়ারিতে দেশের উত্তর, পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা বা মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশা পরিস্থিতি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের কারণে সদ্য শেষ হওয়া ডিসেম্বর মাসে সার্বিকভাবে সারাদেশে স্বাভাবিবের চেয়ে ১৫২ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ডিসেম্বর মাসে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ০ দশমিক ৭ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। একই সঙ্গে সারাদেশে গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।