
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, গাজায় বছরজুড়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা তাদের রয়েছে। তবে অবরুদ্ধ উপত্যকা থেকে কিছু সংখ্যক সেনাসদস্যকে সরিয়ে নেওয়া হবে। যুদ্ধের নতুন পর্যায় শুরু হওয়ায় এরই মধ্যে সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আইডিএফের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে সোমবার সিএনএন এ খবর জানায়।
এক বিবৃতিতে আইডিএফ মুখপাত্র জানান, ৫৫তম ও ১৪তম ব্রিগেডের রিজার্ভ সেনাদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তারা তাদের পরিবারের কাছে ফিরবেন এবং বেসামরিক জীবনযাপন শুরু করবেন। সেইসঙ্গে স্কোয়াড কমান্ডারদের প্রশিক্ষণ দানকারী ৮২৪তম ব্রিগেড, সেনা কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দানকারী ২৬তম ব্রিগেড এবং সশস্ত্র সেনাদের প্রশিক্ষণদানকারী ৪৬০তম ব্রিগেডকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তারা ইসরায়েলে স্বাভাবিক দায়িত্বে ফিরবেন।
আইডিএফ মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল দানিয়েল হ্যাগারি গাজায় দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের কথা বলেন। তিনি জানান, ২০২৪ সালব্যাপী যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির জন্য এ সেনাদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক ব্যয় বৃদ্ধি ও চাপ সৃষ্টির কথাও জানান তিনি।
এ পরিস্থিতিতে ২০২৪ সাল শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলে অন্তত ১২টি রকেট নিক্ষেপ করেছে হামাস। এতে তেল আবিবে যুদ্ধের সাইরেন বাজতে শুরু করে; লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবি জোরালো হয়েছে। তবে তিনি পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতির কথা জানিয়েছেন। নেতানিয়াহু তাঁর বিরুদ্ধে আনা গণহত্যা চালানোর অভিযোগও অস্বীকার করেছেন।
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় সোমবার পর্যন্ত ২১ হাজার ৯৭৮ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে আট হাজারের বেশি শিশু রয়েছে। সোমবার এক দিনে আরও ১৫৬ জন নিহত হন। হারেৎজ অনলাইন জানায়, ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় কথিত ফ্রেন্ডলি ফায়ারে (নিজেদের চালানো গুলি) অন্তত ৩০ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলে। সেখান থেকে রোববার রাতে আরও ১০ ফিলিস্তিনিকে ধরে নিয়ে গেছে ইসরায়েলের সেনারা।