
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে ১৬ বছরের এক মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় দুই ধর্ষকসহ তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভিকটিমের বাবা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের ভাটরাই গ্রামের রমজান আলীর ছেলে কবির আহমদ (২২) ও বনপুর গ্রামের রুশন আলীর ছেলে ইসলাম উদ্দিন (১৯)।
এদিকে, মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে ভিকটিমের বাড়ি। তাঁর সঙ্গে অভিযুক্ত কবির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
পরে পালিয়ে বিয়ে করার প্রলোভন দেখায়। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় মেয়েটিকে বাড়ি থেকে ডেকে আনে। ফুসলিয়ে মোটরসাইকেলে করে বনপুর গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের বসতঘরে নিয়ে দু’জন মিলে রাতভর ধর্ষণ করে।
তাদেরকে সহযোগিতা করে ভাটরাই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সোহান (২১)।
পরদিন শুক্রবার ভোর ছয়টায় টুকেরবাজার পয়েন্টে মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা।
মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে বিষয়টি জানায়।
ভিকটিমের বাবা জানান, তিনি চট্টগ্রামে থেকে দিনমজুরের কাজ করেন। বাড়িতে কেবল তার স্ত্রী এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক এই মেয়ে থাকে। ঘটনার খবর পেয়ে তিনি কোম্পানীগঞ্জ আসেন এবং থানায় মামলা দেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মনিরুজ্জামান খাঁন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একটি মেয়েকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।