
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা সিলেট মহাসড়কে ৩ চাকার যান সিএনজি চালিত অটোরিকশার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও হবিগঞ্জের মাধবপুরে সদর্পে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা চালকরা একইসাথে রেজিস্ট্রেশন বিহীন এসব সিএনজির সামনে পেছনে প্রেস, মিডিয়া এবং সাংবাদিক লিখে মহাসড়কে চলাচল করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, একটি সংঘবদ্ধ চক্র মাসিক সপ্তাহিকা চাঁদার বিনিময়ে মহাসড়কে অবৈধ সিএনজি চলাচলের সুযোগ করে দিচ্ছে অনেকদিন ধরে।
বাংলাদেশের হাই কোর্ট ২২টি মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও ঢাকা সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার একটি অংশে চলাচল করছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সিএনজি। মহাসড়কে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ তিন চাকার অবৈধ যানবাহনকে দায়ী করে থাকেন দুর পাল্লা পরিবহনের চালকেরা। ঢাকা সিলেট মহাসড়কে চলাচলরত অবৈধ সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে অনেকবার সংবাদ প্রকাশিত হলেও অবৈধ সিএনজি চলাচল বন্ধ হয়নি। মাধবপুরে এই অবৈধ সিএনজি নিয়ন্ত্রণ করেন স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক। তারা সিএনজি চালকদের কাছ থেকে মাসিক মাসোয়ারা নিয়ে এসব সিএনজি চলাচলে সুযোগ করে দেয়।
স্টিকারে সাংবাদিক নাম, মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন বিহীন সিএনজি দাপিয়ে বেড়ায় মহাসড়কে। সিএনজি চালকদের সাথে তারা মাসিক চুক্তি করেছেন। স্থানীয় থানা ও হাইওয়ে থানা ম্যানেজ করে মহাসড়কে সিএনজি চলাচলে কাজ করছে এসব সাংবাদিক। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন আর সাংবাদিকদের যুগ সাজসে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে চলছে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা। রক্ষকই যখন ভক্ষক সেখানে ব্যবস্থা নিবে কে? মাঝেমধ্যে হাইওয়ে থানা পুলিশ অভিযান চালালেও এসব মিডিয়া পরিবহনসহ সাংবাদিকের নামে থাকা সিএনজি থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) মাধবপুরে মিডিয়া পরিবহনসহ এক সাংবাদিকের নামের স্টিকার দেখা যায় সিএনজির পিছনে। চালক জানান, হাইওয়ে পুলিশের কাছ থেকে বাচতেই এই স্টিকার লাগানো। বিনিময়ে নাম ব্যবহার করায় ওই সাংবাদিককে মাসে ২ থেকে ৩ হাজার করে টাকা দিতে হয়। ১৫/২০টি সিএনজি এসব স্টিকারে চলাচল করছে বলে জানান ওই চালক। এছাড়া রয়েছে সাংবাদিকের নামে চাবির রিং। এসব চাবির রিং বানিয়ে চালকদের হাতে ধরিয়ে দেয় সাংবাদিক। চাবির রিং হাইওয়ে পুলিশ কিংবা স্থানীয় পুলিশ দেখলে সিএনজি আর ধরে না।
অন্য এক অটোরিকশায় সাংবাদিকের নাম আর মোবাইল নাম্বার দেখে মনে হল হয়তো নিজের পরিচিতির জন্য স্টিকার লাগিয়েছেন। চালক জানালেন না, পরিচিতির জন্য নয়। তার নামে মহাসড়কে সিএনজি চলে ৫টি। তার নাম দেখলে হাইওয়ে পুলিশ আটকাবে না। সব ম্যানেজ করা আছে।
এ সব সাংবাদিকরা ছোট ভাই, বড় ভাই, মামাতো ভাই, খালাতো ভাই বলে স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসন ও টহলরত হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে তাদের মিডিয়ার নাম, নিজের নাম, পত্রিকার নামে স্টিকার বানিয়ে সিএনজিতে লাগিয়ে দেন। বিনিময়ে প্রতিমাসে ২ থেকে ৩হাজার টাকা মাসোয়ারা নিয়ে থাকে।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল কবির জানান, সিএনজি মহাসড়কে চলাচল এমনিতেই নিষিদ্ধ। সাংবাদিক স্টিকার সিএনজিতে কেন লাগানো থাকবে। বিষয়টি আমি দেখে দু একদিনের মধ্যেই ব্যবস্থা নেবো।