
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের মিরপুর-শ্রীমঙ্গল রোডের কামাইছড়া এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
রবিবার কামাইছড়া নামক স্থানে ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং রাস্তার উপর অবৈধ ডিপো তৈরি করে বালু জমা রেখে বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়।এ সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির দায়ে মোঃ সাগর মিয়া(৩০) নামের এক ব্যক্তিকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০-এ ১লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয় এবং প্রায় ৫০ হাজার ঘনফুট স্তূপকৃত বালু ও একটি এক্সেভেটর জব্দ করা হয়।স্থানীয়রা জানান,ওই এলাকায় পর পর দুটি বালুর স্তুপে অভিযান পরিচালনা করলেও সদর উপজেলা ও বাহুবল উপজেলার মিরপুর এলাকায় আরো অনেক অবৈধ বালুর স্তুপ রয়েছে।যে সকল অবৈধ বালুর স্তুপে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা জরুরী বলে মনে করেন তারা।
এলাকাবাসী জানান,মিরপুর এলাকার আলমগীর ও জুয়েল নামের দুই ব্যক্তি মহাসড়কের পাশে মিরপুরের বশিনা এলাকায় অবস্থিত পুরাতন “BTN ব্রিকস্”(ইট ভাটা)কে বালুর ডিপো হিসেবে ব্যবহার করে অবৈধভাবে বালু বিক্রি করে আসছে।এছাড়াও ওই এলাকার মোল্লা দুলাল নামের এক ব্যক্তিসহ একাধিক অসাধু বালু সিন্ডিকেট মহাসড়ক ঘেষা ইটভাটা-সহ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান দখল করে অবৈধভাবে বালু বিক্রি করছে।এদিকে সদর উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ পুরান বাজারের খোয়াই ব্রীজ ও মহাসড়কের বাইপাস রোডের মধ্যবর্তী গঙ্গানগর এলাকার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে অবৈধভাবে ডিপু তৈরি করে বালু বিক্রি করে আসছে বালু সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য চুনারুঘাটের আব্দুর রাজ্জাক অনু।এতে একদিকে যেমন সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব,অন্যদিকে তেমনি চরম ভোগান্তিতে পড়ছে পথচারীসহ মহাসড়কে যাতায়াতকারী সকল যানবাহন।গত দুদিনের অবৈধ বালুর বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।এরই সাথে ওই এলাকার স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ও সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে অবৈধ সকল বালুর স্তুপে জামাকৃত বালু বিক্রির কার্যক্রম বন্ধ করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন বাহুবল উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রুহুল আমিন।সার্বিক সহযোগিতায় ছিল বাহুবল মডেল থানা পুলিশের একটি দল।জনস্বার্থে প্রশাসনের এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান বাহুবল উপজেলা প্রশাসন।