
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :আজ বিজয়া দশমী। হিন্দু ধর্মালম্বীদের দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের দিন। দুর্গা মাকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি এই দিন বিবাহিত নারীরা মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলা ও মিষ্টিমুখে। তবে দশমীতেই কেন সিঁদুর খেলা হয়? কী বার্তা বয়ে আনে এই রীতি?
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদন বলছে, পুরাণে এই বিষয়ে একাধিক মত প্রচলিত রয়েছে। সৃষ্টির আদিকাল থেকে শুরু করা যাক। প্রজাপতি ব্রহ্মার চেষ্টাতেই এই ধরিত্রী নির্মিত হয়েছে। নর ও নারীর মিলনে গড়ে উঠেছে এই জগত। সিঁদুরকে তাই ব্রহ্মার প্রতীক বলে মনে করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ললাটে বা ভাগ্যস্থানে তিনি যাতে অধিষ্ঠিত থাকেন, এ কারণে সিঁদুর পরার রীতি। দেবী দুর্গার বিদায়বেলায় তাই স্বামীর মঙ্গল চেয়ে সিঁদুর খেলেন হিন্দু নারীরা। এখনও স্বামী বা বাড়ির কেউ কাজের জন্য বাইরে গেলে হিন্দু নারীরা ‘দুগ্গা দুগ্গা’ বলেন। দুর্গতিনাশিনীকে স্মরণ করার সঙ্গেই জড়িয়ে আছে সিঁদুরের মাহাত্ম্য।
অন্যদিকে লাল রঙটি পুরাণ মতে উর্বরতা, প্রেম ও আবেগের প্রতীক। তাই বিবাহিত নারীদের আচার অনুষ্ঠানে লাল রঙটি বারবার ফিরে আসে। লালপাড় সাদা শাড়ি, সাদা শাঁখা, লাল পলা। দশমীতে দেবী দুর্গা ফিরছেন তার স্বামীর কাছে। তাই দেবীকেও লাল রঙে রাঙিয়ে বিদায় জানানোর রীতি প্রচলিত।
অন্যদিকে একটি লৌকিক বিশ্বাসও রয়েছে দশমীর এই রীতি ঘিরে। দেবী দুর্গা তো আদতে বাড়ির মেয়ে। বাড়ির মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর আগে মিষ্টিমুখ করাতে হয়। এরপর সিঁদুর ও আলতা পরিয়ে বিদায় জানানোর রীতি রয়েছে। সেই রীতিই মেনে চলা হয় বিজয়া দশমীতে।