
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :হালের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি এখন অভিনয়ের চেয়ে রাজনীতির মাঠেই বেশি সক্রিয়। যার প্রমাণ মেলে তার ফেসবুকে। আর ইতিমধ্যেই তিনি জানিয়েছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়নও চাইবেন।
‘অগ্নিকন্যা’খ্যাত এই নায়িকা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও রাজশাহী-১ এই দুই আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন তিনি। সেই লক্ষে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ কিংবা গণসংযোগ-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন মাহি।
মাহি ভক্তদের মনে এখনো একটি প্রশ্ন বারবার উঁকিঝুঁকি দেয়; রাজনীতিতে কেন নাম লিখালেন এই নায়িকা? এমন প্রশ্নের মুখোমুখি মাহি নিজেও হয়েছেন বহুবার। সেসময় তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” বইটা পড়েছি। আর সেখান থেকেই আমার আত্মবিশ্বাস অনেক দৃঢ় হয়। একজন মানুষ সবকিছুকে সাইডে রেখে নিজেকে দেশের জন্য উৎসর্গ করে দিয়েছেন। সব ধরনের ত্যাগ স্বীকার করেছেন! তার এই উপলব্ধি থেকেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমি অনেক দুর্বল হয়ে পড়ি। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশের মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টি আমাকে অসম্ভব মুগ্ধ করে। দেশের মানুষদের জন্য আমিও কিছু করতে চাই। আর সে কারণে রাজনীতিতে নাম লিখেছি।’
সেই কথার সঙ্গে যোগ করে এবার মাহি বললেন, ‘অনেক আগে থেকেই আমি রাজনীতি করি। তবে মানুষ জানতে পেরেছে এখন। কারণ এখন আমি কথা বলি বা আমার কাজ প্রকাশ করি। কিন্তু আমি অনেক আগে থেকেই মানুষের সেবা করতাম। তাদের প্রয়োজন মিটানোর চেষ্টা করতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সব সময় দেখেছি, আমার এলাকার মানুষ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে, বঞ্চিত হয়েছে। তাই আমি তাদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছি। কিন্তু পাশে দাঁড়াতে গিয়ে অনেক বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাকে। তাই রাজনীতিতে আসা। আমার চেষ্টা থাকবে আজীবন তাদের জন্য কাজ করে যাওয়ার। এমনকি আমার এলাকার জনগণ আমাকে খুব সাদরে গ্রহণ করছে।’
রাজধানীর শাহবাগ থানায় নির্যাতনের শিকার হওয়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে দেখতে স্বামীসহ হাসপাতালে গেলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। আর সেকথার জানান দিলেন এই চিত্রনায়িকা নিজেই।
মাহি বলেন, ‘গতকাল (গত শুক্রবার) গিয়েছিলাম আমার ভাই আনোয়ার হোসেন নাঈমের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে। খালাম্মাকে সান্ত্বনা দেওয়াটা কঠিন ছিল, তার ছেলে খানিকটা দুরের লেখাও ঠিকমতো পড়তে পারেনা এখন। আরও যে কত শারীরিক ক্ষতি হয়েছে তার। আর শরীফ আহমেদ মুনিম ভাইয়া (ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক) সেও ছিল পাশে, মানসিকভাবে কতটা বিধ্বস্ত তিনি আহ্।’
ছাত্রলীগের এই দুই নেতার জন্য দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, ‘সবাই দোয়া করবেন আমার ভাইরা যেন শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়ার পাশাপাশি মানসিক ট্রমা থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক জীবনে দ্রুত ফিরে আসতে পারে।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এডিসি হারুনের সঙ্গে শাহবাগের একটি হাসপাতালে পুলিশের একজন নারী কর্মকর্তা আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী হাজির হন। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে এডিসি হারুন সেখান থেকে চলে যান। পরে পুলিশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের শাহবাগ থানায় ডেকে নিয়ে মারধর করে।