
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : চুনারুঘাট সীমান্তে বানের পানির মত আসছে মাদক। দিনরাত চোরাকারবারীরা যে যার মত করছে এ মাদক ব্যবসা। বিজিবি,পুলিশ ও আইনশৃংখলা বাহিনীর নিয়মিত টহল থাকলেও বন্ধ হচ্ছেনা মাদক।
১মাস পুর্বে ৩ পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলী করা হলেও এখনো বহাল তবিয়তে তার আছেন।
গত ২ মাসে চুনারুঘাট থানায় উল্লেখ্যযোগ্য কোন মাদক আটকের খবর পাওয়া যায় নি। সম্প্রতি হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশ অভিযান করে পাগলা আজিজের স্ত্রী আমিনা খাতুন কে ২০০ পিচ ইয়াবা ও ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক করে।এ সময় সুচতুর পাগলা আজিজ পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় আমুরোড বাজারে সন্ধার পর দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তাকে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়।
সীমান্তের কয়েকজন মাদক সম্রাট সম্প্রতি কোটি কোটি টাকার জমি ক্রয় করায় অনেকের কপালে আঙ্গুল উঠে।কেউ আবার আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়ে কোটি টাকার বিলাশ বহুল বাড়ি বানিয়েছেন।বাল্লা থেকে সাতছড়ি পর্যন্ত সীমান্ত জঙ্গল হওয়ায় মাদক কারবারীরা সহজেই পালিয়ে যায়।বিজিবি’র সদস্যরা মাঝে মধ্যে অভিযান করে মাদক ও ভারতীয় গরু আটক করেন।কিন্তু যা পাচারের তুলনায় খুবই নগন্য।নালুয়া চা বাগান এলাকায় রহিম ও জামাল সিন্ডিকেট মাদক পাচারে শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট-মাধবপুর সার্কেল এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী বলেন,চুনারুঘাট থানার তিন এএসআই বদলী হয়েছেন তিনি জানতেন, আবার কি কারণে তারা বহাল রয়েছেন সেটা তার জানা নেই।তবে কোন পুলিশ কর্মকর্তারা মাদকের মাসোহারা নিলে তদন্তপুর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় চন্দ্রমল্লিকা স্কুলের সভাপতি ওসমান গনি কাজল বলেন সারারাত এত গাড়ি কোথা থেকে আসে আল্লাহ ই ভাল জানেন। গাড়ীর শব্দে ঘুমাতে পারিনা।এলাকার অধিকাংশ যুবক এখন মাদক কারবার করে দামী দামী মোটরসাইকেল চালায়।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক সীমান্তের একটি চা বাগানের ম্যানেজার বলেন, আমরা বাহির এলাকার লোক চাকুরী করি তাই এ সব মাদক ও চোরাকারবারি দেখেও না দেখার ভান করি।
অভিজ্ঞমহল বলছেন, এই মাদক আসা বন্ধ করতে হবে তা না হলে দেশের যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে।