ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : “আকাশে মেঘ জমেছে, এ মনের মেঘ দেখোনি”। রুনা লায়লার সুর করা গান গেয়ে বিচারকদের মন জয় করে তৃষা দাশ সেরাকণ্ঠের সেমিফাইনাল এ উত্তীর্ণ হয়েছে। যার সুরকার বাংলাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লা এবং এই গানটিতে কণ্ঠ দেন হৈমন্তী রক্ষীত দাশ। হৈমন্তী রক্ষিত দাশের পর প্রথম তৃষা এই গানটি চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠে পরিবেশন করে। ফলে বিচারকরা অনেক প্রশংসা করেন তার।
তৃষা দাশ সিলেটের প্রভাংশু দাশ ও বেলা রাণী দাশ এর মেয়ে। তার বাবা নগরীর ব্রহ্মময়ী বাজারের একজন ক্ষুদ্র সবজি ব্যবসায়ী। ছোটবেলা থেকেই তৃষা তার মা-বাবার স্বপ্ন পূরণে গানকে জীবনের অন্যতম অংশ ভেবে সেভাবেই নিজেকে তৈরী করেন। তৃষা ছোটবেলা থেকেই গান গাওয়ার পাশাপাশি গান লিখতে ও সুর করতে ভালোবাসে। তৃষা জানায়, বাংলাদেশকে তার গানের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে চায়। আর ছোটবেলা থেকে তার বাবা-মা তাকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছেন তা পূরণ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তৃষা আরও বলে, অনেক কৃতজ্ঞতা ইজাজ খান স্বপন স্যারকে, যার জন্য আমরা এত বড় মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পেয়েছি। কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা সম্মানিত বিচারকমন্ডলী শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা, সামিনা চৌধুরী ও রেওজয়ানা চৌধুরী বন্যা ম্যামের প্রতি। উনাদের প্রত্যেকটা কথা আমাকে সামনে আরও ভালো করতে সাহায্য করবে। আমার এই স্বপ্নের মানুষদের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রমাণ করা আসলেই সৌভাগ্যের বিষয়।
তৃষা দাশ সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার মেয়ে। বর্তমানে তৃষা পরিবারের সাথে সিলেটে বসবাস করছে।
তৃষা সেমিফাইনাল এ আছে। এখন লড়াই করছে ফাইনালে যাওয়ার জন্য। সকলের আশির্বাদ ও দোয়াই পারে তাকে এবারের সেরাকণ্ঠ করতে। তাকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে তৃষা অনুরোধ করে বলে, এখন ফাইনালে উত্তীর্র্ণ হওয়ার জন্য চলছে ভোটিং। আমাকে ভোট করতে, যেকোনো মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখতে (ঝগঝ) হবে ঙঈঝক ঞজওঝঐঅ, লিখে ২৬৯৬৯ নাম্বারে পাঠাতে হবে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোট দেয়া যাবে। একটি মোবাইল বা একটি সিম থেকে যতখুশি তত ঝগঝ করতে পারবেন। আপনাদের আশির্বাদ ও দোয়া ভালোবাসা থাকলে আমি ফাইনালে যেতে পারবো।
সামাজিক সংগঠন এভারগ্রীন সিলেটের সভাপতি বিষ্ণুপ্রসাদ ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক বিনয় ভূষণ তালুকদার সিলেটের মেয়ে তৃষা দাশের সাফল্যে অভিনন্দন জানান এবং তৃষা দাশকে ফাইনালে উন্নীত করতে সকলের মোবাইল ফোন থেকে যত খুশি এসএমএস করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ তৃষা দাশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎও কামনা করেন।