ইউকে শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
হেডলাইন

খোয়াই নদীতে সেতুর অভাবে ২০ গ্রামের দুর্ভোগ

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়নের চরহামুয়া গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে খোয়াই নদী। নদীটি উপজেলা সদরের অন্তর্ভুক্ত হলেও এর অপর প্রান্তে রয়েছে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা শহর। তবে একটি সেতুর অভাবে নিত্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নদীর দু’পাড়ের প্রায় ২০ গ্রামের বাসিন্দাদের।

খোয়াই নদীর দু’পাড়ে রয়েছে প্রায় ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেতুর অভাবে স্বাধীনতার পর থেকে দুটি খেয়াঘাট দিয়ে চলাচল করছে দুই উপজেলার ওই ২০ গ্রামের মানুষ। বর্ষাকালে ভরা নদীতে ঝুঁকি নিয়ে চলে পারাপার। বিশেষ করে স্কুল-কলেজে যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে তাদের দীর্ঘদিনের দাবি একটি সেতুর। তবে বারবার সেতুর জন্য আবেদন করেও সাড়া মিলছে না। নতুন-পুরান দুটি খেয়াঘাট দিয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয়রা। এ ছাড়া নৌকা দিয়ে পারাপারে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়।

উপজেলার চরহামুয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় সেখানে নদীর দুটি খেয়াঘাট। সেখান থেকে নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা রশি টানা নৌকা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হন উত্তর চরহামুয়া, দক্ষিণ চরহামুয়া, পশ্চিম চরহামুয়া, লস্করপুর, আদ্যপাশা, নগর, রাঙ্গেরগাঁও, নোয়াবাদ, দক্ষিণচর, কালীগঞ্জ, রামনগর, বনগাঁও, সুঘরসহ দুই উপজেলার ২০টি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। প্রথমে একটি মাত্র পুরোনো খেয়াঘাট থাকলেও চলাচলের আরেকটি নতুন ঘাট করা হয়। এ দুটি খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২০০ মিটার লম্বা রশি টেনে নৌকায় নদী পার হন এখানকার মানুষ।

শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, নদীর দুই পাড়ের দুটি উপজেলায় শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ, জহুর চান বিবি মহিলা কলেজসহ প্রায় ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে নদীতে সেতু না থাকায় শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে পারছেন না। প্রায় সময় স্কুলে শিক্ষার্থীরা অনুপস্থিত থাকে।

চরহামুয়া গ্রামের বাসিন্দা মোনায়েম আহমেদ জানান, সেতু না থাকায় আশপাশের ১৫-২০টি গ্রামের মানুষ কষ্টে আছে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা, ব্যবসায়ী ও কৃষকদের পণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রেই সমস্যা চরমে।

লস্করপুর ইউপি সদস্য সাহেব আলী জানান, স্বাধীনতার পর থেকে এভাবেই চলছে এখানকার মানুষ। সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলালেও স্থানীয়দের ভাগ্য বদলায়নি। একটি সেতুর অভাবে সবক্ষেত্রেই বিপত্তি বাড়ছে। ইউএনও আয়েশা আক্তার জানান, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখে চরহামুয়া গ্রামের দুটি খেয়াঘাটের বিষয়ে অবগত হয়েছেন। সেখানে সেতু না থাকায় মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে। দ্রুত সেখানে সেতু নির্মাণে করণীয় সব রকম ব্যবস্থা করা হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ

ukbanglaonline.com