ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :মাধবপুরের সুরমা চা বাগানে শ্রমিক সঞ্চিতা সাঁওতাল(২০)কে হত্যার অভিযোগে স্বামী জয়ন্ত সাঁওতালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সঞ্চিতার পিতা সুজন সাঁওতাল।
সুরমা চা বাগানের ১০ নং বিভাগের মৃত মঙ্গল সাঁওতালের পুত্র জয়ন্ত সাঁওতাল প্রায় দেড় বছর পূর্বে চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি চা বাগানের সুজন সাঁওতালের মেয়ে সঞ্চিতা সাঁওতাকে বিয়ে করে। বিয়ের প্রায় এক বছর পর তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়। নয় মাস বয়সী কন্যা সন্তানের নাম জ্যোতি সাঁওতাল। নিহত সঞ্চিতার ছোট বোন অর্পিতা সাঁওতাল (৭) এক সপ্তাহ ধরে তার কাছে বেড়াতে এসেছে।
অর্পিতা জানায় বৃহস্পতিবার রাতে জয়ন্ত ঘরে এসে সঞ্চিতাকে বুকে, পিটে ও পেটে লাথি, কিল, ঘুসি দিয়েছে। তার পর থেকে সঞ্চিতা অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রতিবেশী সুমন সাঁওতালের স্ত্রী শিল্পী জানায় জয়ন্তদের অভাবের সংসার জয়ন্ত নেশা করে প্রায়ই সঞ্চিতাকে মারধোর করতো। সঞ্চিতা খুবই ভাল ছিল। সঞ্চিতা অসুস্থ শরীর নিয়েও বাগানের কাজ করতো। বৃহস্পতিবার রাতে জয়ন্ত তাকে নির্মম ভাবে মেরেছে। তার পর থেকে পেটে খুবই ব্যাথা হচ্ছিল। সঞ্চিতা বার বার বলেছে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে নতুবা সে মরে যাবে।
গত শুক্রবার বিকালে মাধবপুর হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। সঞ্চিতার লাশ বাড়ীতে নিয়ে এসে মৃত্যুর খবর কাউকে জানায়নি। রাতে পুলিশ আসায় সবাই ঘটনা জানতে পেরেছে।
মাধবপুর থানার ওসি রকিবুল ইসলাম খাঁন জানান, রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। সঞ্চিতার পিতা সুজন সাওতাল থানায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সঞ্চিতার স্বামী জয়ন্তকে বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ।
মোঃ