ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :অক্সিজেনের পরই আমাদের শরীরের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ পদার্থ হলো পানি। আমাদের শরীরের শতকরা ৬৫ ভাগ অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশই পানি। মানবদেহের সমস্ত কোষ, কলা (টিস্যু) ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মূল গাঠনিক উপাদান পানি। পেশির শতকরা ৭৫-৮৮ ভাগ, হাড়ের ২০-২৫ ভাগ, রক্তের ৮৫-৯০ ভাগই পানি। এমনকি দাঁতেরও ৫ শতাংশ হচ্ছে পানি।
মাথা থেকে পা অবধি শরীরের প্রতিটি কোষের দৈনন্দিন স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া চলমান রাখার জন্যে পানি এক অপরিহার্য উপাদান। তাই শুধু তৃষ্ণা মেটাতেই নয়, সুস্থ জীবনের জন্যে পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান আপনার ত্বককে করবে সজীব ও প্রাণবন্ত । ত্বকের জন্যে প্রসাধনীর চেয়েও পানি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পানি ত্বকের স্বাভাবিক কমনীয়তা ও স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। পরিশ্রমজনিত অবসাদ, ক্লান্তি ও শ্রান্তি দূর করে।
মস্তিষ্কের শতকরা প্রায় ৯০ ভাগই পানি। শরীরে পানি স্বল্পতা হলে মাথা ঘোরা, মনোযোগহীনতা দেখা দেয়। প্রয়োজনীয় পানির অভাবে বিপাকক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়, শরীরে ফ্যাট জমে। পানি মস্তিষ্ককে রাখে উদ্দীপ্ত ও কর্মচঞ্চল। এ-ছাড়াও পানি ক্ষুধার অনুভূতি কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
পানি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পেশি ও কোনে প্রয়োজনীয় শক্তি জোগায়। ফুসফুসের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখে। কিডনির সুস্থতার জন্যে পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ-ছাড়া কিডনিতে পাথর জমার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এবং দেহ থেকে সকল প্রকার ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয়। পানি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে, কোলন ও মূত্রথলির ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। তাই সুস্থ-নীরোগ দীর্ঘজীবনের জন্যে প্রতিদিন কমপক্ষে দুই লিটার পানি পান করুন।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই মুখ ধুয়ে খালি পেটে ৪-৬ গ্লাস পানি পানের অভ্যাস করুন। এরপর ৪৫ মিনিট কোনোকিছু খাবেন না বা পান করবেন না। এ-ছাড়া দিনের অন্যান্য সময়েও পর্যাপ্ত পানি পান করুন। তবে খাওয়ার ২০-৩০ মিনিট পর পানি পান করুন। এতে হজম ভালো হয়। আর তৃষ্ণা পেলে জুস বা কোমল পানীয় নয়, পানি পান করুন। কারণ পানিই সেরা পানীয়।