ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ এসোসিয়েশনের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ২টায় শহরের গুহ রোডে সংগঠনের কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি মো.জাকারিয়া আহমদ এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১০ আগষ্ট শ্রম ও কর্মসংস্হান মন্ত্রণালয়ের মজুরি বোর্ড কর্তৃক ‘চা শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক ও কর্মচারীদের মজুরি সংক্রান্ত চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়।
তিনি বলেন, এই প্রকাশিত গেজেট চা শ্রমিক ও কর্মচারীদের স্বার্থের ও বাংলাদেশ চা সংসদ (বিসিএস) চুক্তি নামার সহিত সংঘর্ষিক। বিসিএস এর সহিত চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে বাৎসরিক ২ মাসের বেতনের সমপরিমাণ টাকা দুই ঈদ,দূর্গা ও লাল পূজা উৎসবে তারা প্রাপ্ত হন। কিন্তু গেজেটে এসব সুবিধা বোনাস স্ক্রিমে সমন্বয় করে উৎসব ভাতা প্রাপ্য হইবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ বেতন কাঠামোতে পদ বিন্যাসে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা কম দেখানো হয়েছে। তাছাড়া বিসিএস ও প্রচলিত আইনের সহিত আরও সাংঘর্ষিক ধারা উক্ত গেজেটে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বেতন গ্র্যাচুটি,কোম্পানির মুনাফা,মজুরির সিবিএ অধিকার, আরও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাসহ তাদের মৌলিক অধিকার উক্ত গেজেটে খর্ব করা হয়েছে।
এসময় জাকারিয়া আরও বলেন,মজুরি বোর্ডে তাদের মৌখিক ও লিখিত মতামত আমলে নেয়া হয়নি। এমনি চা শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গেজেট খসড়া করার সময় তাদের অধিকার,সুযোগ,সুবিধা খর্ব না করা ও বিসিএস এবং প্রচলিত আইনের সাথে সাংঘর্ষিক বিষয়গুলো তুলে ধরেন। এতে তারা তাদের মতামত পাসের প্রস্তাব করেন কিন্তু তারা ওই কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করার পরও মজুরি বোর্ড এসব বিষয় আমলে না নিয়ে চূড়ান্ত ভাবে একপেশে ও বৈষম্যমূলক গেজেট পাস করেন।
সভাপতি এসময় বলেন,চলতি বছরের ১০ আগষ্টের গেজেট স্থগিত করে নতুন করে সবার মতামতের ভিত্তিতে,প্রচলিত আইন ও বিসিএস এর সহিত চুক্তিনামার শর্তসমূহ বলবৎ রেখে নতুন গেজেট পাস করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় তারা আন্দোলন ও আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান। এসময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো.আমিনুর রহমান আরও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিতি ছিলেন।
এ বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্হান মন্ত্রণালয়ে সচিব মো.এহছানে এলাহী এর সহিত মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করা হয়নি।পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোন সাড়া পাওয়া যায় নি।