ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান বলেছেন, পেনশন স্কিম সরকারের জনকল্যাণমুখী এক বড় পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে নাগরিক জীবনে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং আমাদের দেশ একটি কল্যাণ রাষ্ট্র হিসাবে আত্ম প্রকাশ করবে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ”সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত অবহিতকরণ’ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এই স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সি কোনো নাগরিক যদি মাসে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা জমা করেন, তাহলে তার বয়স ৬০ পার হলেই সরকার তাকে প্রতি মাসে পেনশন দেবে ৩২ হাজার টাকা।
দেশের চার শ্রেণির প্রায় ১০ কোটি মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে চালু করা হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে ৬০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২০ লাখ এবং ২০৪১ সালে তাদের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩ কোটি ১০ লাখ। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনতে এবং নিম্ন আয় ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত সমাজের ৮৫ শতাংশ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।’ এই পেনশন স্কিমে তিনটি শ্রেণী রয়েছে ১. প্রবাস ২. প্রগতি ৩. সুরক্ষা ৪.সমতা। জনগুরুত্ব পূর্ণ এই স্কিমগুলির ব্যাপারে মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মিডিয়ার ইতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে এটি তৃনমূল পর্যায়ে পৌছৈানো সম্ভব।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবারক হোসেনের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, এলজিইডি এর নির্বাহী প্রকৌশলী ইনামুল কবির, ক্যাব সিলেটের সভাপতি জামিল চৌধুরী, জেলা মৎস কর্মকর্তা শীলা রানী বিশ্বাস, সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আল আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক আফতাব চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন উপজেলার নির্ববাহী কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।