ইউকে বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
হেডলাইন

সিলেটে স্বাস্থ্য সেবায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের অবদান

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি সরকারের পরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাবার পর একদিন দৈনিকসিলেটডটকমের সাথে আলাপকালে বলেছিলেন, ‘আমার একটি স্বপ্ন আছে আর তা হলো সিলেটকে মেডিকেল হাব হিসেবে গড়ে তোলা। সিলেটের স্বাস্থ্য খাতে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৬ থেকে ৭ লাখ রোগী ভারতে চিকিৎসা নিতে যায়। এতে করে আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়। আমরা যদি সিলেটে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করতে পারি তাহলে ভৌগলিক কারণে ভারতের সেভেন সিস্টারখ্যাত সাতটি রাজ্য থেকে রোগীরা এ অঞ্চলে সেবা নিতে আসবেন।
এই চিন্তা এবং চেতনাকে ধারণ করে তিনি সিলেটে স্বাস্থ্য সেবায় উন্নয়নে হাত দেন।
একটি মহলের বাধাকে অতিক্রম করে জরা জীর্ণ আবুসিনা ছাত্রাবাস ভেঙ্গে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই জেলা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের চাপ এতো বেড়ে যায় যে রোগীরা হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হয়ে ছিলো। এই অবস্থার উন্নতি এবং সিলেটবাসীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উন্নয়ন শুরু করেন।
এই লক্ষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ তলা বিশিষ্ট আধুনিক আউটডোর কমপ্লেক্স স্থাপন করা হয়।
অন্যদিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা অধিকতর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আরো একটি ১৮ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
এছাড়া এমএজি ওসমানী হাসপাতাল ২ নামে আরো একটি হাসপাতাল তৈরীর পরিকল্পনা প্রনোয়ন করা হয়েছে।

করোনা মহামারীর সময় মানুষের আহাজারী আর বোবা কান্নায় যখন বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিলো, মৃত্যু আর লাশের মিছিল যখন চলছিলো ঠিক তখন সিলেটের মানুষের পাশে এসে দাড়িঁয়ে ছিলেন ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।
করোনা কালীন সময়ে তিনি প্রতিদিন সিলেটের স্বাস্থ্য বিভাগ, ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক, স্থানীয় রাজনীতিবিদদের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করতেন। কোথায় কী সমস্যা ? কী দরকার? এসব জেনে নিতেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেন। সিলেটর দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব লোকমান হোসেন মিয়া সদা তটস্থ থাকতেন।
ভেন্টিলেটার, আইসিইউ এবং হাই ফ্লো অক্সিজেন ব্যবস্থায় সমৃদ্ধ করে শহীদ ডা: শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালকে তিনি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাললে রপান্তর করেন। যা সিলেটের অন্যতম এবং প্রধান করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে।
ড. মোমেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার পলিমার চেইন রি-অ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন স্থাপন করেন। এখানে ৭ এপ্রিল ২০২০ থেকে শুরু হয় করোনা পরীক্ষা। করোনা রোগী চাপ অব্যাহতভাবে বাড়ার কারণে পরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও চালু হয় আরেকটি পিসিআর মেশিন ।
ভ্যাক্সিন কূটনীতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন অসাধারণ সফলতা দেখিয়েছেন। যার ফলে পৃথিবীর অনেক দেশ বাংলাদেশকে বিপুল পরিমান করোনা ভ্যাক্সিন সরবরাহ করে। আর সে জন্য উন্নত বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় ভ্যাক্সিন দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকটা এগিয়ে ছিলো।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ