ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :সিলেটের কৃতি সন্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি বলেছেন, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি বিশ্বমানের একটি শপিংমল করতে চান। এটি বাস্তবায়িত হলে দেশে প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা আসবে এবং প্রবাসীদের নানা ধরণের দুর্ভোগ কমবে।
সম্প্রতি দৈনিকসিলেটডটকমের সাথে আলাপ কালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর এই আগ্রহের কথা জানান। তিনি বলেন, বিমানবন্দরে এ ধরণের একটি শপিংমল হলে প্রবাসীরা বিদেশে শপিং না করে এখানে এসে করবে। শুধু বাংলাদেশী প্রবাসী নয় প্রতিবেশী দেশ বা অন্যান্য দেশের ট্রানজিট যাত্রীরাও এ সুযোগ পাবেন। সংশোধীত নকশায় এটি ঢোকানোর চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, ভুল নকশার কারণে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ মেগা প্রকল্পের কাজ থমকে আছে। কাজ শুরুর পর জানা যায় নকশায় ভুল। ভুল নকশা কাজ করলে নবনির্মিত টার্মিনাল ভবন একসময় ভেঙ্গে ফেলতে হবে ।
এই মেগা প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে বাড়বে সিলেটের সরাসরি ফ্লাইট। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সেভেন সিস্টারখ্যাত সাতটি রাজ্যের যাত্রীরাও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণে এই বিমানবন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হবেন।
জানা যায় ওসমানী বিমানবন্দর সম্প্রসারণ মেগা প্রকল্পটি সরকারের অনুমোদন পায় ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর। এরপর নকশা প্রণয়নের কাজ পায় যৌথভাবে কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান ‘ইয়োশিন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন’ ও ‘হিরিম আর্কিটেক্ট অ্যান্ড প্ল্যানার্স’। ওই নকশার উপর ভিত্তি করে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি দরপত্র আহ্বান করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ২ হাজার ৩০৯ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকার ওই প্রকল্পের কাজ পায় চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘বেইজিং আরবান কন্সট্রাকশন গ্রুপ (বিইউসিজি)’। ২০২০ সালের ১১ মে প্রকল্পটির চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
মেগা প্রকল্পটির মধ্যে ছিল- ৩৪ হাজার ৯১৯ বর্গমিটারের দ্বিতল বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন, ৬টি বোর্ডিং ব্রিজ স্থাপন, কনভেয়ার বেল্টসহ ৩৬টি চেক ইন কাউন্টার, ২৪টি পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টার, ৬টি এস্কেলেটর, ৯টি লিফট, ৩টি লাগেজ কনভেয়ার বেল্ট, ৬ হাজার ৮৯২ বর্গমিটারের কার্গো ভবন, জেট ফুয়েল ডিপো ও কন্ট্রোল টাওয়ারসহ আনুষাঙ্গিক আরও কিছু অবকাঠামো নির্মাণ।
পর্যবেক্ষক মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, সিলেটের উন্নয়ন প্রকল্পগুলি নানা অজুহাতে বিলম্ব করার একটি প্রবনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ মেগা প্রকল্পের কাজ নকশা দ্রুত সংশোধন শুরু করার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের।