ইউকে মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
হেডলাইন

চুনারুঘাটে ধুপাছড়া থেকে লুট হচ্ছে বালু

ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের লালচান্দ চা বাগানের দেওয়ান বাড়ি মাঠ-সংলগ্ন ধুপাছড়া থেকে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী মহল। প্রশাসনের অভিযানের ভয়ে দিনের বেলা বালু না সরিয়ে পাচার করা হচ্ছে রাতে। প্রতি রাতে কমপক্ষে ১০ ট্রাক বালু পাচার হচ্ছে এখান থেকে।

বাগানের ভুলকিছড়াসহ বিভিন্ন ছড়া থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রির জন্য লালচান্দ পুরানবাজার নিয়ে আসা হয়। পরে এখান থেকে ট্রাক্টরে বালু নিয়ে বিক্রি করা হয় বিভিন্ন স্থানে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করায় কাঁঠালবাড়ী এলাকায় একটি ব্রিজ ধসে পড়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। একই এলাকায় আরেকটি ব্রিজ রয়েছে হুমকির মুখ। এসব ব্যাপার আমলে না নিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে প্রভাবশালীরা।
শুধু ব্রিজ নয়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে চরাঞ্চলের শত শত একর ফসলি জমি, বাড়িঘর, চা বাগানের টিলা। ছড়া থেকে বালু উত্তোলনের ফলে টিলাগুলো ধীরে ধীরে ধসে যাচ্ছে। বালু উত্তোলনের মূল হোতারা এলাকার প্রভাবশালী। এর আগে প্রশাসনের উদ্যোগে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হলেও কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর অদৃশ্য ইশারায় আবারও শুরু হয়েছে বালুখেকোদের দৌরাত্ম্য।

এই এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি এরই মধ্যে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বিত অভিযান পরিচালিত হয়। তবে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যায় মূল হোতারা। মোবাইল কোর্টের ভয়ে এখন ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত চলে বালু উত্তোলন। পরে রাতে সেগুলো পাচার করা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও করেছে স্থানীয়রা।

স্থানীয় কুদ্দছ মিয়াসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, দেওয়ান বাড়ি মাঠ-সংলগ্ন ধুপাছড়াসহ ওই এলাকার বিভিন্ন খাল ও ছড়া থেকে স্থানীয় সোহেল মিয়া, হেলাল, আল আমিন ও ফজলুর নেতৃত্বে বালু উত্তোলন করা হয়। প্রশাসনের অভিযানের কারণে এবার কৌশল পরিবর্তন করে দিনের চেয়ে রাতেই বেশি বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নিয়োজিত রয়েছে বিপুল সংখ্যক দিনমজুর। ওই চক্রটির নিয়োগকৃত কর্মচারী বালু বিক্রি ও ট্রাক্টর লোডের কাজ করে। আর মূল হোতারা থাকে পর্দার আড়ালে।

এ বিষয়ে ইউএনও সিদ্ধার্থ ভৌমিক জানান, ওই এলাকায় কয়েক দফা অভিযান চালানো হয়েছে। বেশ কয়েকটি, ট্রাক্টর ও ভেকু জব্দ করার পাশাপাশি কয়েকটি মামলাও হয়েছে। রাতে বালু কাটার বিষয়টি তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। উপজেলার শানখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে কাঁঠালবাড়ী এলাকার ব্রিজটি হুমকির মুখে রয়েছে। যে কোনো সময় এটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তিনি আশা করেন, সংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলনেয় বিষয়টি অস্বীকার করেছে। সুত্র: সমকাল

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন :

সর্বশেষ সংবাদ