
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক-নার্সদের হেনস্তা করেছে রোগীর স্বজনেরা। এসময় তারা হাসপাতালের ওয়ার্ডেও ভাঙচুর করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ইন্টার্ন চিকিৎসক ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখা ‘কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা চাই’ উল্লেখ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে।
সোমবার রাত ৮টার দিকে পরিষদের সভাপতি মো. রাকিব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত মজুমদার এ ঘোষণা দেন।
এদিকে হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- আটককৃতরা হলো কুচাই নোয়াগাও এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে জুবেল আহমদ (২৭), জুয়েল আহমদ (২৩), সাবেল আহমদ (২১) ও একই গ্রামের মৃত বাতির আলীর ছেলে আব্দুল মালিক (৫৪)।
জানা গেছে, রোববার ওসমানী হাসপাতালে দক্ষিণ সুরমার কুচাই এলাকার ভর্তি হওয়া এক রোগী সোমবার বিকেলে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে মারা যান। এ সময় রোগীর ছেলেসহ স্বজনেরা চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলেন। তারা ওয়ার্ডের গ্লাস, চেয়ার, টেবিল, ইজিসি মেশিনসহ বেশ কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং চারজনকে আটক করে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আটকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি মো. রাকিব হোসেন সমকালকে জানান, রোগীর স্বজন নামধারী সন্ত্রাসীরা শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের ক্রমাগত ভয়ভীতি প্রদর্শন, হুমকি প্রদান এবং শারীরিকভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা চালায়। এসময় তিনি অভিযোগ করেন, হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই।
ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।