ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে চালু হওয়া শাহিদাবাদ বর্ডার হাটে বৃষ্টিতে কাঁদায় সয়লাব। হাটে আসা দু্ই দেশের ক্রেতাগন চলাচল করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এছাড়াও মালামাল পরিবহনেও ভোগান্তিতে পড়ছে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।
এই হাটটি গত তিন মাস পুর্বে (২৪ মে) উদ্বোধন হলেও হাটের ভিতরের উভয় প্রান্তে দোকানের সামনের অংশে ও মধ্যে কাঁদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে আগতদের।
এ হাটে সাপ্তাহে প্রতি বুধবার উপজেলার সীমান্তে বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়েরগড়ের শাহিদাবাদ ও ভারতের নালিকাটা এলাকায় সীমান্ত হাটে এমনি চিত্র দেখা গেছে। এই হাটকে কেন্দ্র করে দু-দেশের মানুষ মধ্যে এক মিলন মেলায় পরিনত হয় বলে জানায় স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানাযায়,সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত চলা হাটে কম হলে ৪ থেকে ৫ শতাধিক মানুষ উভয় দেশের মানুষ হাটে আসে। হাটে দু দেশের বিভিন্ন পন্য সামগ্রি ক্রয় বিক্রয় করে ব্যবসায়ীগন।
হাটের ভারত ও বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরগন বলেছেন, দু’দেশের পন্য সামগ্রি কেনা কাটা করতে আসা লোকজন জনের মধ্যে ভারতীয় পন্য কেনার প্রতি আগ্রহ বাংলাদেশীদের বেশি। আর ভারতীয়রা বেশির ভাগ প্লাস্টিকের পন্য ক্রয় করেন। পাশাপাশি হাঁস মুরগী অন্যনা প্রয়োজনীয় পন্য গুলো ক্রয় করছেন। তবে হাটে মাটির থাকায় বৃষ্টিতে কাঁদায় ভরে গেছে,চলাচল করতে পারছেন না ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। হাটে চলাচলের সুবিধার জন্য পাকা করা হলে সবাই উপকৃত হব।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়,চলতি বছরের গত বুধবার( ২৪ মে)আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করে দু দেশের উর্ধবতন কর্মকর্তাগন। এনিয়ে জেলায় তিনটি বর্ডার হাট চালু হয় আর বাংলাদেশের ১৪তম এই বর্ডার হাটের স্থান। বর্ডার হাটে উভয় দেশের ১২টি করে মোট ২৪টি দোকান বসছে। ব্যবসায়ীরা পূর্ব নির্ধারিত ২৫টি পণ্য বিক্রি করতে পারছেন এবং একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুইশত মার্কিন ডলারের(২১ হাজার পাঁচশত টাকা)পণ্যসামগ্রী কিনতে পারবেন। এখনও ক্রেতা কার্ড পায়নি যাচাই বাচাইয়ে উত্তির্নরা। একারনে ভারতীয়দের বেচা কেনা কম।
তবে হাটে স্থানীয় বাসিন্দারা ৫০ টাকা আর স্থানীয় ছাড়া ২০০ টাকা দিয়ে বাংলাদেশী আগ্রহীরা হাটে প্রবেশ টিকেট নিয়ে কেনা কাটা করছে তাদের চাহিদা মত।
উপজেলা প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক আলম সাব্বির জানান,হাটে বিভিন্ন এলাকার মানুষজন আসছেন তারা যাতে করে দূর্ভোগের মধ্যে পড়তে না হয় তার জন্য হাটে প্রবেশ সড়ক ও হাটের ভিতরের পাকা করা খুবেই প্রয়োজন।
টিকেট কেটে বর্ডার হাটে আসা সাকিল মিয়া জানান,হাটে টিকেট কেটে আসলাম। এসেছি মূলত ভারতীয় কিছু পন্য ক্রয় করার জন্য। কিনেছি কিন্তু কিনতে গিয়ে কাদাঁ মাটিতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পরতে হয়েছে। ভারতের অংশের অবস্থা বেশি খারাপ। পাকা করা হলে ভাল হত।
বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও শাহিদাবাদ বর্ডার হাটে সভাপতি নিজাম উদ্দিন জানান, হাটে আসা ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা জানান, হাটে প্রবেশের সড়ক সহ ভিতরের পাকা করনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে










