
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :চলতি বছরের ২৪ মে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে শাহিদাবাদ বর্ডার হাট। জন প্রতি স্থানীয়রা ৫০ টাকা ও অস্থানীয়রা ২শত টাকা দিয়ে হাটে প্রবেশ কার্ড নিয়ে হাটে প্রবেশ করে পন্য ক্রয় করতে পারছেন।
কিন্তু এ হাটে ভারতীয় পন্য সামগ্রি ক্রয়ের জন্য সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ৫ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারীদের ক্রেতা কার্ড দেয়ার কথা থাকলেও আবেদনকারীদের মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের মধ্যে একজনও ক্রেতা কার্ড আজও পায়নি। এর ফলে ঐসব আগ্রহী ক্রেতারা ভারতীয় পন্য ক্রয় করতে পারছেন না। কবে পাবেন তাও তারা জানেন না তারা।
অন্যদিকে এতদিন অতিবাহিত হলেও ভারতীয় পন্য ক্রয় করতে ক্রেতা কার্ড না পারায় আবেদন কারীদের মধ্যে যাচাই বাচাইয়ে উত্তির্ন ৫৫০জনের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়,চলতি বছরের গত বুধবার (২৪ মে) আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করে দু’দেশের উর্ধবতন কর্মকর্তাগন। এনিয়ে জেলায় তিনটি বর্ডার হাট চালু হয় আর বাংলাদেশের ১৪তম এই বর্ডার হাটের স্থান। বর্ডার হাটটি উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়েরগড় শাহআরেফিন (রাঃ) আস্তানা সংলগ্ন শাহিদাবাদ ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের নালিকাটা এলাকায় অবস্থান। উদ্বোধনের আগের দিন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও তাদের সহযোগিসহ মোট ৪৫ জন বাংলাদেশীকে পন্য বিক্রয় করার কার্ড পেয়েছে তারা বাংলাদেশী পন্য হাটে বিক্রি করছেন। নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহের প্রতি বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বর্ডার হাটটি বসছে। বর্ডার হাটে উভয় দেশের ১২টি করে মোট ২৪টি দোকান বসছে। ব্যবসায়ীরা পূর্ব নির্ধারিত ২৫টি পণ্য বিক্রি করতে পারছেন এবং একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুইশত মার্কিন ডলারের(২১ হাজার পাঁচশত টাকা)পণ্যসামগ্রী কিনতে পারবেন।
ক্রেতা কার্ড পাবার জন্য আবেদনকারীগনের মধ্যে যাচাই বাচাইয়ে তালিকায় থাকা লোকজন জানান,আমরা আবেদন করেছি অনুমোদনের তালিকায় নাম আছে কিন্তু তিন মাস পার হলেও ক্রেতা কার্ড পায়নি। এ কারনে আমরা পন্য ক্রয় করতে পারছি না। দ্রুত ক্রেতা কার্ড পেলে আমরা উপকৃত হব।
বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও শাহিদাবাদ বর্ডার হাটে সভাপতি নিজাম উদ্দিন জানান,বর্ডার হাটের ক্রেতা কার্ডের পরিমান সাড়ে ৫শত। যতটুকু জানি সংখ্যায় বেশি থাকার কারনে দেরি হচ্ছে। এরপরও যোগাযোগ করব যেন দ্রুত কার্ড পেয়ে যায় আগ্রহী ক্রেতাগন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা জানান,ক্রেতা কার্ডের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে থেকে আবেদন গ্রহন করে যাচাই বাচাই করে নামের তালিকা তৈরি করে জেলায় পাঠানো হয়েছিল তা প্রক্রিয়াধিন আছে। আশা করছি খুব শ্রীর্ঘই ক্রেতা কার্ড পেয়ে যাবে।