
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :বিশ্বব্যাপী টেকসই, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ খাদ্য সম্মেলনে পাঁচ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় বিকালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে জাতিসংঘের খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রস্তাব দেন।
প্রধানমন্ত্রী তার প্রথম প্রস্তাবে বলেন, আধুনিক কৃষিতে বিনিয়োগের জন্য বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর্থিক প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা প্রদান করা প্রয়োজন।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগে ‘ব্ল্যাক সি গ্রেইন ডিল’-কে চালু রাখার পাশাপাশি খাদ্য ও সার রপ্তানির বিধিনিষেধগুলো তুলে নেওয়াসহ যে কোনো বাণিজ্য বাঁধা অপসারণের লক্ষ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত দরকার।
তৃতীয় প্রস্তাবে শেখ হাসিনা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফুড ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কথা বলেন। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থার রূপান্তরের লক্ষ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার প্রস্তাব দেন তিনি।
চতুর্থ প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী কৃষিশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল রেখে ন্যানো-প্রযুক্তি, বায়ো-ইনফরমেটিকস ও অত্যাধুনিক কৃষি প্রযুক্তিগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানান। পঞ্চম প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বিশ^জুড়ে খাদ্যের অপচয় ঠেকাতে তরুণদের সমন্বয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার তাগিদ দেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, বিশ^জুড়ে এখনো খাদ্য নিরাপত্তার বাইরে রয়েছে ২০০ কোটি মানুষ। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর জেরে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় তৈরি হওয়া খাদ্য, সার, জ্বালানি এবং আর্থিক সংকট আরও তীব্র হয়ে ক্ষুধা এবং অপুষ্টি বাড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেবল কৃষি ও খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনলেই হবে না। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবার জন্য অংশগ্রহণমূলক ও টেকসই খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন বলে জানান শেখ হাসিনা।