
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :সিলেট মহানগরীতে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দল বেঁধে চলাচল করছে এসব কুকুর।
এদের আক্রমণে মানুষসহ বিভিন্ন পশু ও প্রাণী আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়াও কিছু কুকুর শরীরে ক্ষত ও পচনসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আক্রান্ত এসব কুকুরের শরীর থেকে ছড়াচ্ছে নানা রকমের রোগ জীবাণু এবং দুর্গন্ধ।
ফলে এলাকায় মানুষের চলাফেরা কঠিন হয়ে পড়েছে। কুকুরের আতঙ্কে অসহায় সাধারণ মানুষ। পথচারী ও স্কুল শিক্ষার্থীরা এখন কুকুর আতঙ্কে ভুগছে।
সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় পড়েন ফজরের নামাজে যাওয়া মুসল্লিরা। নগরীর ৯ নং ওয়ার্ডের তপোবন আবাসিক এলাকার এক মুরব্বী জানান, বেওয়ারিশ কুকুরের যন্ত্রনায় ফজরে মসজিদে যেতে পারি না। তপোবনের রাস্তায় অন্তত ১২টি কুকুর শুয়ে থাকতে দেখা যায়।
বেওয়ারিশ এসব কুকুর নিয়ন্ত্রণে কোনও সরকারি বা এলাকাভিত্তিক উদ্যোগ নেই ফলে দিনকে দিন বেড়েই চলছে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা।
সরেজমিনে দেখা যায, মহানগরীর ৫,৬, ৯,১৩ নাম্বার ওয়ার্ডে প্রত্যেক মোড়,মসজিদের সামনে, পয়েন্ট রোডসহ বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে দিনে-রাতে প্রায় ডজন খানিক বেওয়ারিশ কুকুরের সঙ্গবদ্ধ দল রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়।
কখনও কখনও রাস্তার মাঝে বসে ও শুয়ে থাকে। ফলে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ভয়ে স্কুলে যেতে চাচ্ছে না।
ডা. মু. আলমগীর কবির জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কুকুর নিধনের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে নিধন কর্মসূচি আপাতত বন্ধ রয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমেদ বলেন, সিটি কর্পোরেশন থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বন্ধন সমাজ কল্যান সংস্থা সভাপতি রিমাদ আহমদ রুবেল জানান, আমাদের এলাকায় কুকুরের ভয়ে রাতে একা বাড়িতে আসা যায় না। এলাকাবাসী যাওয়ার পথে ১০/১৫টি বেওয়ারিশ কুকুর ধাওয়াও করে। রাতে বাসায় ফেরার সময় কুকুরগুলো পথ রোধ করে ধরে।
উদয় সমাজ কল্যান সংস্থা সিলেট সভাপতি সজিবুর রহমান রুবেল বলেন, এ বিষয় নিয়ে আমি আমার ফেইসবুক আইডিতে লাইভ করেছি বেওয়ারিশ কুকুরদের জন্যে মুসল্লিরা নামাজে যেতে সমস্যা হচ্ছে সকাল বেলা আমার ছেলে মেয়ের স্কুল যেতে খুব ভয় পায় । এ ছাড়াও মাঝে মাঝে কুকুরের দল একা পেলে ঘেউ ঘেউ করে তেড়ে আসে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর দৃষ্টি আর্কষন করলে তিনিও জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কুকুর নিধনের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে নিধন কর্মসূচি আপাতত বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন আমরা কিছু করতে গেলে পরিবেশবাদীরা বাঁধা দেবে।
মেয়রের এই বক্তব্য শুনে একজন মুসল্লি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনুগ্রহ করে এই বেওয়ারিশ কুকুরগুলোকে ধরে পরিবেশবাদীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে আমাদেরকে উদ্ধার করুন।