ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় দুটি টিআর প্রকল্পে কাজ না করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্প দুটির অনিয়ম ও কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ করার চেষ্টার অভিযোগ এনে বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্থানীয় আবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তিসহ ৩৫ জন কৃষক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, চলতি অর্থ বছরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাগনার হাওর থেকে কৃষকের বৈশাখী ফসল ঘরে তোলার জন্য গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ টিআর প্রকল্পের আওতাধীন দুইটি প্রকল্প বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রকল্প দুইটি চাঁনপুর-আবুরহাটি রাস্তা হইতে ছেলাইয়ার কান্দা পর্যন্ত এবং জালালের জমি হইতে উসমানের জমি পর্যন্ত। প্রকল্পের একটি মাটির কাজের জন্য ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার অনুকুলে চাঁনপুর আবুরহাটি রাস্তা হতে ছেলাইয়ার কান্দা পর্যন্ত, সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নূরুল হুদাকে প্রকল্প সভাপতি করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। অপর প্রকল্পটিতে জালালের জমি হইতে উসমানের জমি পর্যন্ত মাটির কাজ বাস্তবায়নের জন্য ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আরুজা বেগমকে প্রকল্প সভাপতি করে ২ টন ২ শত ৭৬ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। অনুমোদনকৃত প্রকল্পের এই রাস্তা দিয়ে ধান তোলার মৌসুমে প্রায় ৪-৫ গ্রামের কয়েক হাজার কৃষকের একমাত্র ভরসার সড়ক এটি। প্রকল্পগুলোতে কৃষকের স্বার্থে বরাদ্দ দেওয়া হলেও প্যানেল চেয়ারম্যান নূরুল হুদার প্রকল্পে নামকাওয়াস্তে কিছু কাজ করলেও ইউপি সদস্য আরুজা বেগমের প্রকল্পে কোন ধরনের কাজই করা হয়নি।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা সম্পূর্ন্ন অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে কাজ না করে বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থ ও চাল আত্নসাতের চেষ্টায় লিপ্ত। পৃথক দুটি প্রকল্পে সঠিক সময়ে সঠিক কাজ না করায় এলাকার কৃষিজীবি মানুষের বোরো মৌসুমে ধান তুলতে মারাত্বাক সমস্যার সম্মূখীন হচ্ছে।
লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন,প্যানেল চেয়ারম্যান নূরুল হুদা ও সংরক্ষিত সদস্য আরুজা বেগমের প্রকল্প দুটি হলেও একই জায়গায় ভিন্ন নাম দিয়ে সুবিধা ভাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যা বিভিন্ন ভাবে প্রতীয়মান। তাই উক্ত বিষয়ের আলোকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা দাবি জানান।
এব্যাপারে চাঁনপুর আবুরহাটি রাস্তা হতে ছেলাইয়ার কান্দার প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান নূরুল হুদা বলেন, কাগজেপত্রে আমি এ প্রকল্পের সভাপতি হলেও কাজটা আমি করিনি। কাজটা করেছেন আমাদের ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন।
অপর প্রকল্পের অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আরুজা বেগম বলেন, আমি কাজ করছি, প্রকল্পের সম্পুর্ন টাকা আমি হাওরের অন্যান্য কাজে লাগাইছি।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন, এই প্রকল্পের কাজটা শতভাগ সঠিকভাবে হয়েছে। নির্বাচনে আমার প্রতিপক্ষ ও দুষ্কৃতকারী কিছু লোক আমার মানহানি করার জন্য এই নোংরা কাজগুলো করছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এরশাদ হোসেন বলেন, আমি বর্তমানে উপজেলার বাহিরে আছি। অফিসে এসে খোঁজ খবর নিবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, অফিসার দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের তদন্ত চলছে, তদন্ত রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।










