চতুর্থ বারের মত গার্মেন্টসকর্মী রিয়া খাতুনকে বিয়ে করেন ২ বছর আগে। এখন ঘরে একটি সন্তান। মায়ের কথা শুনে প্রায়ই রিয়ার ওপর অকথ্য নির্যাতন চালান আব্দুল মালেক। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে রিয়া খাতুনকে তার স্বামী আব্দুল মালেক ও শাশুড়ি ঝাড়ু দিয়ে পেটাতে থাকেন। এক পর্যায়ে আত্মরক্ষার্থে রিয়া খাতুন স্বামী আব্দুল মালেকের বিশেষ অঙ্গ ধরে স্বজোরে টান দেন। এতে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ উপড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক আবীর হাসান বলেন, আব্দুল মালেকের বিশেষ অঙ্গ ভিতর থেকে বের হয়ে আসার উপক্রম হয়েছে। সেখানে ৪ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহত আব্দুল মালেক বলেন, ঘরে একটি মুরগী মলত্যাগ করেছে। আমার মা এটি স্ত্রীকে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল। আমি তাকে নিষেধ করায় আমাকেও গালাগাল শুরু করে। আমি তাকে ঝাড়ু দিয়ে আঘাত করায় আমার বিশেষ অঙ্গ ধরে সে টানাটানি শুরু করে।
এদিকে রিয়া খাতুন অভিযোগ করেন, মায়ের কথা শুনে আমার স্বামী প্রায়ই নির্যাতন করে। আজ আমার শাশুড়ি ছেলেকে উস্কে দিলে তিনি আমাকে মারধর শুরু করেন। তখন আত্মরক্ষার্থে তার বিশেষ অঙ্গ ধরে টান মেরে আমি প্রাণে বেঁচে গেছি।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ ঘটনায় স্ত্রী রিয়া খাতুনকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আইনগত বিষয় এখন প্রক্রিয়াধীন আছে।










