ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : ২৪ ঘন্টার মধ্যে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় স্কুলছাত্রী মুক্তি রানী বর্মণ (১৬) হত্যার প্রধান আসামি কাওসার (১৮) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার (২ মে) বেলা ৩ টার দিকে স্কুল থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে উপজেলার ছালিপুরা এলাকায় মুক্তি রানী বর্মণকে কাওসার নামে এক বখাটে অতর্কিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয় লোকজন ও সহপাঠীরা আহত মুক্তি রানী বর্মনকে উদ্ধার করে প্রথমে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বিকাল পাঁচটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাহাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মুক্তি রানী বর্মন উপজেলার প্রেমনগর গ্রামের নিখিল বর্মণের মেয়ে এবং প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
উক্ত ঘটনায়ঁ আসামী গ্রেফতারের জন্য পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদ তাৎক্ষনিক জেলা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখার সমন্বয়ে চারটি টিমে বিভক্ত করে প্রয়োজনীয় সার্বিক দিক নির্দেশনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্কুলছাত্রী মুক্তি রানীর হত্যার প্রধান আসামী কাওসার প্রেমনগর পাকা ধান ক্ষেত সংলগ্ন জঙ্গল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গতকাল বুধবার (৩ মে) বিকাল পাঁচটার দিকে নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা আটক হওয়া কাওসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে জানিয়েছে, দীর্ঘ দিন যাবৎ মুক্তি রানী বর্মণকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার দেওয়া প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এই ক্ষোভ থেকেই তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন।’
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো: লুৎফর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বারহাট্টা সার্কেল) মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান, ডিবি পরিদর্শক সায়েদুর রহমান প্রমুখ।










