
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে হাওরে বোরো ধান ঘরে তুলতে মেশিনের সাহায্যে কাটা হচ্ছে।কৃষকের মনে শঙ্কা। যে কোন সময় শিলাবৃষ্টি হতে পারে।বন্যায় তলিয়ে যেতে পারে পাকা ধান।যত তাড়াতাড়ি বোরো ধান ভাড়ালে তুলতে পারলেই স্বস্তি। খড়ার কবলে পড়ে বোরো জমির ধানে চিটা হয়েছে। আশানুরূপ বোরো ধানের ফলন হয়নি।যেটুকু আছে তা কেটে ঘরে তুলতে দু- চার মাস ঘরের চাল রেঁধে খাওয়া যাবে। সরজমিনে সোমবার (২৭ এপ্রিল) হাওরে কৃষকের সাথে আলাল কালে জানা যায় -নবীগঞ্জ পৌর সভার ১নং ওয়ার্ডের কৃষক আব্দুল আলি জানান- বোরো মৌসুমে চার কেয়ার জমি চাযাবাদ করেছি। ফলন ও ভালো হয়েছিল।খড়ার কবল পড়ে দুই কেয়ার জমির ধান চিটায় পরিণত হয়েছে। দু মাস বোরো ধানের ভাত খেতে পারবো কিনা চিন্তায় আছি।
কৃষক লেবাছ মিয়া জানান- বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সময় মতো বৃষ্টি না হওয়া ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জমিতো পাকা বোরো ধান যা আছে তা তো কেটে তুলতে হবে।নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা বলেন- কৃষকদের সাধ্যমতো সরকারের পক্ষ থেকে বীজ- সার – কীটনাশক দিয়ে সহযোগীতা করা হয়েছে। বোরো ফলন ও হয়েছে ভালো।খড়ায় পড়ে ধানের শীষ নষ্ট হয়েছে । বোরো ধানে হয়েছে চিটা।