
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় দুই মেয়ের জামাই মিলে শাশুড়ি আলেহা খাতুনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। নিহত আলেহা খাতুন উপজেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মেরুয়াখলা গ্রামের রবি মিয়ার স্ত্রী। হত্যাকারী মেয়ের জামাই বাহারাম মিয়াকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
সোমবার দুপুরে উপজেলার মেরুয়াখলা গ্রামের ঘটনাটি ঘটে।
এঘটনার মঙ্গলবার সকালে নিহতের স্বামী রবি মিয়ার বাদী হয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানায় উপজেলার স্বরুপগঞ্জ গ্রামের বাহারাম মিয়া ও একেই উপজেলার মেরুয়াখলা মোস্তফা মিয়াকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।
মামলা দায়েরের পর তাহিরপুর উপজেলার লাউরেরগড় (ঢালারপাড় থেকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানাযায়,যৌতকসহ বিভিন্ন পারিবারিক কলহের কারণে গত ১৭ই এপ্রিল দুপুরে রবি মিয়ার দুই মেয়ের দুই জামাই একেই উপজেলার স্বরুপগঞ্জ গ্রামের বাহারাম মিয়া ও একেই উপজেলার মেরুয়াখলা মোস্তফা মিয়া তাদের শাশুড়ি আলেহা খাতুনের সাথে রবি মিয়ার বাড়ির সামনে এসে ঝগড়া শুরু করে। ঝগড়ার একপর্যায় বাহারাম মিয়ার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে আলেহা খাতুনকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে পেটের বাম পাশেসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আলেহা খাতুনকে উদ্ধার করে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী রবি মিয়া বাদী হয়ে ১৮ এপ্রিল বাহারাম মিয়া ও মোস্তফা মিয়ার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে। এর পর বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শংকর চন্দ্র দেব থানা এলাকাসহ আশপাশের থানায় সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে আজ দুপুরে তাহিরপুর উপজেলার লাউরেরগড় (ঢালারপাড়) থেকে এজাহার নামীয় প্রধান আসামী বাহারাম মিয়াকে গ্রেফতার করেন। অপর পলাতক আসামি মোস্তফা মিয়াকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শংকর চন্দ্র দেব জানান,গ্রেফতারকৃত আসামিকে পুলিশ স্কটের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।