ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক রোগ, যা সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দুর্ভাগ্যবশত ডায়াবেটিসের কোনো প্রতিকার নেই। ডায়াবেটিসের কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে শুরু করে, ফলে রোগীর শরীরে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো হলো- ঘন ঘন প্রস্রাব, অতিরিক্ত তৃষ্ণা, ক্ষুধামন্দা, ঝাপসা দৃষ্টি বা প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া। এ ধরনের লক্ষণগুলো সব রোগীদের মধ্যেই কমবেশি দেখা দেয়। তবে নারীরা ডায়াবেটিসের বেশ কিছু ভিন্ন লক্ষণও অনুভব করতে পারেন।
এনসিবিআইতে প্রকাশিত এক সমীক্ষা অনুসারে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীরা যোনি ছত্রাক সংক্রমণ, ইউটিআই সংক্রমণের মতো লক্ষণগুলো অনুভব করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া নারীদের মধ্যে ডায়াবেটিসের আরও কী কী লক্ষণ দেখা যায়-
ইউটিআই সংক্রমণের লক্ষণ
এনসিবিআই রিপোর্টের তথ্য অনুসারে, ডায়াবেটিসের কিছু লক্ষণ পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে আলাদা হতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীদের যোনিতে ফাঙ্গাল ইনফেকশন ও ঘন ঘন ইউটিআই হওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
হৃদরোগ
হার্ট ডট অর্গের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীদের মধ্যে পুরুষদের তুলনায় তিন থেকে চার গুণ বেশি হার্টের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি দেখা দেয়।
যৌনবাহিত রোগের লক্ষণ
ডায়াবেটিস ডট অর্গ ইউকে’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীরা অনিয়মিত মাসিক, বন্ধ্যাত্বের ব্যাধি ও যৌন কর্মহীনতার মতো নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া লিবিডো কমে যাওয়া ও যোনি শুষ্কতার মতো লক্ষণও দেখা দিতে পারে।
নারীদের মধ্যে কেন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি?
গবেষণা বলছে, পুরুষদের তুলনায় নারীদের ডায়াবেটিস নির্ণয়ের সম্ভাবনা কম। কারণ গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের মতো কারণগুলো মনারীদের রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে ও তাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
এছাড়া নারীদের মধ্যে ডায়াবেটিস সংক্রান্ত জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি, যেমন- হৃদরোগ ও বিষণ্নতার দেখা দিতে পারে।
লক্ষণের প্রভাব কমাতে করণীয়
ইউটিআই সংক্রমণ এড়াতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ইউটিআই প্রতিরোধের কিছু অন্যান্য উপায়ের মধ্যে আছে প্রচুর পানি পান করা, সুতির অন্তর্বাস পরা ও আপনার মূত্রাশয় পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা না করে প্রস্রাব করা।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা করবেন
সিডিসি অনুসারে, ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের খাবার ও পানীয়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। এমন খাদ্য গ্রহণ করা উচিত যাতে বেশি আঁশ থাকে।
খাবারে প্রচুর শাকসবজি, কম চর্বি, কার্বোহাইড্রেট ও বেশি করে প্রোটিন নিন। এর পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত খাবার, অ্যালকোহল ও মিষ্টি পানীয় খাওয়া এড়িয়ে চলুন।