
ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক :মৌলভীবাজারের বড়লেখায় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা লঙ্ঘন করে মাধবছড়ার উপর নির্মিত কালভার্ট ঝুঁকির মুখে ফেলে ছড়া থেকে মাটি কেটে নিজের ফার্মের ভিটা ভরাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য মুহিবুর রহমান কামালের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। ছড়া থেকে মাটি তোলা বন্ধে স্থানীয় লোকজন সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর অনুলিপি পরিবেশ মন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহাব উদ্দিনের বরাবরেও দেয়া হয়েছে। এদিকে ছড়া থেকে মাটি কেটে নেয়ায় বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের মাধবছড়ার উপর নির্মিত কালভার্টটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। আসন্ন বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে ছড়ার পাড় ভেঙে জমির ফসল নষ্ট হবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুহিবুর রহমান কামাল নিজের ব্যক্তিগত জমিতে গরুর ফার্ম তৈরি করছেন। ফার্মের ভিটা ভরাট করতে তার নজর পড়ে পাশের মাধবছড়ায়। সম্প্রতি তিনি কয়েকজন শ্রমিক লাগিয়ে মাধবছড়ার উপর নির্মিত কালভার্টের উভয় পাশ থেকে মাটি কাটা শুরু করেন। এরইমধ্যে তিনি ছড়া থেকে মাটি কেটে নিজের ফার্মের ভিটাও ভরাট করে ফেলেছেন।
এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে ছড়ার উপর নির্মিত কালভার্ট। সরজমিন স্থানীয় লোকজন জানান, ফার্মটি স্থানীয় ইউপি সদস্য মুহিবুর রহমান কামাল নির্মাণ করছেন। তিনি শ্রমিক লাগিয়ে মাধবছড়া থেকে মাটি কেটে ফার্মের ভিটা ভরাট করিয়েছেন। ছড়া থেকে মাটি কেটে নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য মুহিবুর রহমান কামাল বলেন, ‘একটা মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এই ফার্মট আমার এক আত্মীয়ের। তারা ফার্ম তৈরির পর আমাকে ভাড়া দেবেন। তাই আমি এর কাজ দেখাশোনা করছি। আমি অন্য জায়গা থেকে মাটি এনে ভিটা ভরাট করেছি। আর ছড়া থেকে আশপাশের লোকজন মাটি নিয়েছেন।’ এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ‘ছড়া থেকে মাটি কেটে নেয়ার বিষয়টি শুনেছি। তহশিলদারকে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ্র বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ সড়ক ও জনপথের (সওজ) মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, ‘যে ব্যক্তি এই কাজ করেছেন, তিনি ঠিক করেননি। মাটি তোলার কারণে বর্ষা মৌসুমে ঢলে কালভার্টটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। গোড়া থেকে মাটি তোলায় যেকোনো সময় কালভার্ট দেবে গিয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।