ইউকে বাংলা অনলাইন ডেস্ক : সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে মন্দিরের জায়গা উদ্বার ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাচনা বাজার ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবারের মানুষের উপস্থিতিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চাঁনপুর গ্রামের কালি মন্দির সংলগ্ন রাস্তায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সাবেক ইউপি সদস্য সুজন হালদার। নিশিকান্ত সরকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সঞ্জয় তালুকদার, লিটন সরকার, অধির সরকার, অখিল বিশ্বাস, নিরঞ্জন সরকার,
গুরুদাস তালুকদার।
মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন আমরা সাচনা বাজার ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের বাসিন্দা। এটি হাওর পাড়ের একটি প্রাচীনতম হিন্দু অধুস্যিত গ্রাম। দীর্ঘ কয়েক যুগ আগে চাঁনপুর থেকে দূরদূরান্ত প্রায় ২০ গ্রামের হিন্দু মুসলিম মালিকানাধীন ৬২ জনে ৫০ একরের বেশি চারণ ভূমি বিভিন্ন সময়ে উক্ত গ্রামের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কালি মন্দিরের নামে দান করে দেন।
এই জমিটি কালি মন্দির ও গ্রাম সংলগ্ন হওয়াতে দীর্ঘ বছর যাবত গ্রামবাসীদের গরু-ছাগল চড়াইয়া ভোগদখল করে আসছে। কিন্তু বেশ কয়েকমাস যাবত গ্রামবাসী সে জমিতে গরু চড়াতে ও কালি মন্দিরের জায়গা হিসেবে দাবি করলে উক্ত মন্দিরের সাবেক সভাপতি রাম চন্দ্র তালুকদার তার নিজের জমি বলে বিভিন্ন জায়গা দাবি করে বেড়ান। পরবর্তীতে গ্রামবাসী তার জালিয়াতি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাসুক মিয়ার উপস্থিতিতে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বিচার সালিশে বসেন। সালিশে রাম চন্দ্র তালুকদার বলেন, মাঠ সেটেলম্যান্টে তার ছেলে ও ভাইয়ের নামে উক্ত ভূমি রেকর্ডভূক্ত হয়ে গেছে। তবে তিনি বা তার ভাই কেউই এ জায়গা ভোগ দখলে আসবে না। এবং রেকর্ড সংশোধন করে মন্দিরের জায়গা মন্দিরের নামে ফেরত দিবে। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও জমি না দিয়ে নানা তালবাহানা করে কত কয়েকদিনে গ্রামের বিভিন্ন লোকের নামে একাধিক থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
এই বিষয়ে রবিবার ১২০ জন স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে দাখিল করা হবে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত রাম চন্দ্র তালুকদার বলেন আমি মোবাইলে আপনার সাথে কোন কথা বলব না, সরাসরি এসে আজকের মানববন্ধনসহ সব বিষয়ে কথা বলবো।










